Elephant Attack: হাতির পেটে গোটা বছরের ধান, বন দফতরের সামনে ধরনা ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের
Elephant Attack: এই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই কৃষক। ধান চাষ করেই গোটা বছরের খাবারের সংস্থান করে কৃষক পরিবারগুলি। কিন্তু, হাতির হানায় ফসলের ক্ষতি হওয়াতে বেড়েছে চিন্তা।
আলিপুরদুয়ার: গ্রীষ্ম হোক বর্ষা, উত্তরবঙ্গের (North Bengal) একাধিক জেলায় হাতির হানার (Elephant Attack) খবর নতুন নয়। এবার হাতির হানায় অতিষ্ঠ আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কুমারগ্রাম ব্লকের রাধা নগরের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের শিল বাংলা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে প্রতিদিন বুনো হাতির পাল খেয়ে নিচ্ছে ক্ষেতের ধান। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় পঞ্চাশ বিঘা জমির ধান পুরোপুরি খেয়ে ফেলেছে হাতির দল। তাতেই মাথায় হাত চাষিদের। কেন ঠেকানো যাচ্ছে না হাতির পালের আক্রমণ? এই প্রশ্নই বন দফতরের কর্মীদের কাছে রাখছেন এলাকাবাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বারবার বন কর্মীদের জানানো হলেও কোনও প্রতিকার মেলেনি। আর সে কারণেই এদিন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ধরনা দিল ভলকা রেঞ্জের বারবিশা বিট অফিসে। শুক্রবার দুপুরে রাধা নগর গ্রামের প্রায় দুশো বাসিন্দাকে ধরনা দিতে দেখা গেল। তাঁদের অভিযোগ, সবেমাত্র ধানের শীষ বেরোতে শুরু করেছে,আর সেই সময় বুনো হাতির দল প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হানা দিচ্ছে ধানের ক্ষেতে।
সূত্রের খবর, এই গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই কৃষক। ধান চাষ করেই গোটা বছরের খাবারের সংস্থান করে কৃষক পরিবারগুলি। কিন্তু এ বছর সেই ধানের চাষ শুরু হতে না হতেই তা চলে যাচ্ছে হাতির পেটে। যা নিয়ে চিন্তিত গ্রামবাসীরা। বন দফতরের কাছে তাঁদের দাবি অবিলম্বে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় ফেন্সিং করা হোক। এই প্রসঙ্গে বারবিশার বিট অফিসার বিজয় সার্কি বলেন, “বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে। তারপরই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।” এদিকে বুনো হাতির তাণ্ডব ৭ দিনের মধ্যে ঠেকানো না গেলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।