Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alipurduar School: সুন্দর ক্লাসরুম, রয়েছে খেলার মাঠও, তবুও স্কুলে পড়ছে ৩ জন, কেন জানেন?

Alipurduar: এর আগেও আলিপুরদুয়ার জেলায় এভাবেই তিনটি স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেই স্কুলগুলি পুনরায় খোলা নিয়ে ডিপিএস সি কোনও উদ্যেগ নেয়নি বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

Alipurduar School: সুন্দর ক্লাসরুম, রয়েছে খেলার মাঠও, তবুও স্কুলে পড়ছে ৩ জন, কেন জানেন?
ক্লাসরুমের ছবি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 06, 2023 | 6:38 PM

আলিপুরদুয়ার: খেলার মাঠ, ছবি আঁকা ক্লাসরুম সবই রয়েছে। তবে পড়ুয়া সংখ্যা মোটে তিন। তবে প্রথম থেকেই চিত্রটা এমন ছিল না। যেখানে দেড়শো কিংবা দুশো জন ছাত্র ছাত্রী ছিল। সেটা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র গুটি কয়েকে। কথা হচ্ছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিধানপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয় (School)। এই বিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা তলানিতে পৌঁছে যাওয়ায় স্কুলটি বন্ধের আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এর আগেও আলিপুরদুয়ার জেলায় এভাবেই তিনটি স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেই স্কুলগুলি পুনরায় খোলা নিয়ে ডিপিএস সি কোনও উদ্যেগ নেয়নি বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সেই বন্ধের তালিকায় আবার সংযোজন হতে চলেছে বিধানপল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়?

স্কুলটি শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই এলাকায় মূলত নিম্নবিত্তের বসবাস। স্বাভাবিক ভাবেই এই স্কুলে সাধারণ পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়তে আসেন। স্কুলে রয়েছেন ২ জন শিক্ষক। স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলের শিক্ষকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, “একজন আসেন। একজন আসেন না। সিএল না নিয়ে বাড়িতে বসেই দিব্যি ছুটি কাটাচ্ছেন শিক্ষকরা। স্কুলটি যাতে পুর্নজীবন লাভ করে সে ব্যাপারে শিক্ষকদের উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ। অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, শিক্ষকদের জন্য স্কুল ছেড়েছেন ছাত্র ছাত্রীরা।

যদিও, এ নিয়ে কোনও শিক্ষকই মন্তব্য করতে চাননি। এই স্কুলে মিড-ডে মিলের জন্য দায়িত্বে রয়েছেন দুজন কর্মী। তারা জানান, “স্কুলে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কমছে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র ভর্তির কথা বলছি। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না।”

স্থানীয় কাউন্সিলর দীপক সরকারের অভিযোগ আবার অভিভাবকদের প্রতি। তিনি বলেন, “ওই স্কুলের কাছে বেশ কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম ও নার্সারি স্কুল রয়েছে। অভিভাবকরা চান তাঁদের ছেলে মেয়েরা ইংরেজি মিডিয়াম কিংবা নার্সারি স্কুলে পড়ুক। তাই স্কুলে ছাত্র সংখ্যা কমছে। তিনি বলেন,”চেষ্টা হচ্ছে স্কুলটাকে আবার স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনা।”

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মণ বলেন,”ঘটনাটি শুনেছি। ওই এলাকার অভিভাবকদের নিয়ে একটি মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে তিনটি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিক্ষাদফতর চায় না স্কুল বন্ধ করতে। আবার যাতে স্কুলটিকে পুনরায় আগের মত ফেরানো যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

যদিও, ডিপিএসসি-র চেয়ারম্যানের এটা কথার কথা। স্কুলটিকে নিয়ে কোনও মাথা ব্যাথা নেই জেলা বিদ্যালয় কাউন্সিলের। তাহলে কি বন্ধের তালিকায় নাম উঠে যাচ্ছে স্কুলটির? এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে।