BJP Membership: পুর ভোটে প্রার্থী হতে চান? বায়োডাটা ফেলে দিন ড্রপবক্সে
Alipurduar: গেরুয়া শিবিরের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
আলুপুরদুয়ার: আপনি ভোটে দাঁড়াতে চান? দেরী না করে সোজা ড্রপবক্সে জমা করে ফেলুন বায়োডাটা। যদি সমস্ত কিছু ঠিক-ঠাক থাকে তাহলে আপনাকেই প্রার্থী করা হতে পারে। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। আলিপুরদুয়ারে এইভাবেই অভিনব উপায়ে প্রার্থী বাছাইয়ের উদ্যেগ নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
অন্তর্কলহে জেরবার বঙ্গ বিজেপি। ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে দলের জেলা স্তরেও। এর উপরে আবার পুর ভোট। তাই এই আন্ত কোলাহলের আঁচ যাতে ভোটে না পরে সেই কারণে তৎপর তারা। দলের জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক এই ড্রপ বক্স চালু করেছেন।
জানা গিয়েছে, দলের যে কোনও সদস্য এই ড্রপবক্সে বায়োডাটা জমা দিতে পারবেন। আলিপুরদুয়ার ২০ টি ওয়ার্ডে সকল প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এছাড়া শহরের বিশিষ্ট নাগরিকরাও পরিচয়পত্র জমা দিতে পারবেন। আর বিবেচনা হলেই কেল্লাফতে। আপনিই প্রার্থী।
আগামী কয়েকদিন সেখানে পরিচয় গ্রহণ করা হবে। ভোটের দিনক্ষন ঘোষণা হলেই ড্রপবক্সটি দলের নেতৃত্ব খুলবেন। জানা গিয়েছে, মাত্র একদিনে ওই ড্রপবক্সে দশটি বায়োডাটা জমা পড়েছে।
বিধানসভা ভোটের পর আলিপুরদুয়ার পুরসভার ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮ টি ওয়ার্ডেই বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। শাসক দল তৃণমূল থেকে এগিয়ে থাকলেও এবার তাদের বড় সমস্যা গোষ্ঠী কোন্দল। কারণ একটি ওয়ার্ডে একাধিক নেতা প্রার্থীর দাবিদার।
বিজেপির আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতির এই নির্বাচনে এই ব্যাবস্থা চালু আছে। যারা দাঁড়াতে ইচ্ছুক তাঁদের আবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। এটা ভারতীয় জনতা পার্টির ঐতিহ্য। তৃণমূলের মতো টাকা নিয়ে প্রার্থী হওয়ার মত ব্যাপার নেই।” অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসক প্রসেনজিৎ দে বলেন, “তৃণমূলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। সবাই এক। বিজেপির তরফ থেকে ভোটে প্রার্থী কে হবে সদস্য খুঁজে পাচ্ছে না। বিধানসভায় এটাই করেছিল। কিন্তু জনগণ বিতাড়িত করেছে। তৃণমূলের প্রার্থী একজনই। তিনি মমতা ব্যানার্জী। তাঁকে দেখেই মানুষ ভোট দেবে।”
আরও পড়ুন: School Reopening: ‘স্কুলগুলো এবার খোলা হোক’, আরও একটি মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে