Alipurduar: মোক্ষম কামড়! তৃণমূল কর্মীর কান ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ
Conflict of TMC in Alipurduar: কান কামড়ে নেওয়ার ঘটনায় বুধবার তিনজনের বিরুদ্ধে সমর বাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শাসক দলের কর্মী বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
আলিপুরদুয়ার : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমেই জটিল হচ্ছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। দলের অন্তর্কলহ মেটাতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে শাসক শিবিরকে। আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের ভোলার ডাবড়ি এলাকায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীকোন্দল আরও প্রকট আকার নিয়েছে। এক গোষ্ঠীর সমর্থকরা অপর গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মীর কান কামড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম সমর বর্মণ। অভিযোগ, তৃণমূলেরই অন্য গোষ্ঠীর সমর্থকরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কান কামড়ে নেওয়ার ঘটনা স্বাভাবিকভাবে হতবাক এলাকার অনেকে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে এক সালিশি সভা চলছিল ওই এলাকায়। সেই সময়েই রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। কান কামড়ে নেওয়ার ঘটনায় বুধবার তিনজনের বিরুদ্ধে সমর বাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। যে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শাসক দলের কর্মী বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
সালিশি সভা ঘিরে গন্ডগোল
মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় নেতাজি বিদ্যাপিঠ স্কুলের মাঠে একটি গ্রাম্য সালিশি সভা চলছিল। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডোগোল বাধে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে পুলিশও সেই সময় ঘটনাস্থলেই ছিল।পুলিশের সামনে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত সমর বর্মণের এক কান টেনে ধরে অপর কান কামড়ে ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। এক তৃণমূল কর্মীর কামড়ে মারাত্মক জখম হয়েছে সমর বর্মণ। অভিযোগ জমা হলেও শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের তরফে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই বেশ অস্বস্তিতে শাসকদল।
হুমকিও দেওয়া হয় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীকে
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী সমর বর্মণ জানিয়েছেন, “ওই এলাকায় একটি সালিশি সভা ছিল। আমরা সেখানেই গিয়েছিলাম। আলোচনা হচ্ছিল সালিশিতে। তখনই ঝামেলা বেধে যায় ওদের মধ্যে। পুলিশ ছিল ওখানে। পুলিশ তাদের যখন নিয়ে যাচ্ছে, তখন আমি সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখনই আমার কানে কামড় দেয় শঙ্কর ঘোষ। আমি এমনটা হবে বুঝতে পারিনি।” এর পাশাপাশি ওই যুবকে ‘এমন ব্যবস্থা নেব, লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না’ বলে হুমকিও দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন সমর বর্মণ। তবে এই ঘটনায় স্থানীয় সূত্র তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা জানা গেলেও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব বা স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : Bank Recruitment: চুুপি-চুু্পি ব্যাঙ্কে নিয়োগ করছে তৃণমূল, অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের কাছে নালিশ পদ্মশিবিরের