Sand smuggling: ‘সবাই তো খারাপ নয়’, বালি পাচারে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই সাফাই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর

Alipurduar: মরিচবাড়ি খোল্টা গ্রামপঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য মকসুদা বিবির স্বামী ডাক সাইটে ঠিকাদার। তাঁর নাম আবিদ হোসেন।

Sand smuggling: 'সবাই তো খারাপ নয়', বালি পাচারে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই সাফাই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর
তৃণমূল নেতা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2022 | 10:22 AM

আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার শহর থেকে ঠিক ঢিল ছোড়া দূরত্ব। আর সেখানেই চলছে রমরমিয়ে বালি পাচার। কালজানি ব্রিজ থেকে কয়েকশো মিটার দূরে জেসিবি লাগিয়ে নদীবক্ষ থেকে তোলা হচ্ছে বালি।শুধুমাত্র দিনের বেলাতে নয়। রাত আড়াইটে তিনটে পর্যন্ত ডাম্পার ভর্তি করে বালি পাচার হচ্ছে। যদিও বালি মাফিয়াদের দাবি, ফোর লেন রাস্তার এই কাজে বালি ব্যবহার করা হচ্ছে।

কালজানি ব্রিজ থেকে বাঁধ দিয়ে কিছুটা দূর এগোলে কোচবিহার সীমান্ত। সেই সীমান্তেই রমরমিয়ে চলছে বালি খাদান। অভিযোগ, বালি মাফিয়ারা ক্রমাগত বালি তোলার কাজ শুরু করেছে আলিপুরদুয়ারের সীমান্ত লাগোয়া কালজানি নদীতে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এই কাজে যুক্ত শাসকদলের নেতারা।

মরিচবাড়ি খোল্টা গ্রামপঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য মকসুদা বিবির স্বামী ডাক সাইটে ঠিকাদার। তাঁর নাম আবিদ হোসেন। এলকায় পরিচিত সজল মিঞা হিসেবে। অভিযোগ, তিনি এবং তাঁর কয়েকজন সঙ্গী কালজানি নদীবক্ষ থেকে বালি তোলার কাজ করছেন। স্থানীয় মানুষজন অভিযোগ জানালেও কোনও কাজ হয়নি। কারণ তাঁরা এলাকায় প্রভাবশালী।

অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে কাজে লাগিয়ে দেদার বালি পাচার হচ্ছে। এই নিয়ে অভিযোগ খোদ গ্রামবাসীদের। যেভাবে কালজানি নদী থেকে বালি মাটি তোলা হচ্ছে তাতে বর্ষায় এবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বীরপাড়া ও খোল্টা চেক পোস্ট এলাকা। বাঁধের যে অবস্থা তাতে এই বর্ষায় বালি তোলার ফলে নদীর গতিমুখ পরিবর্তন হয়ে এলাকাগুলি ধবংস হয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কয়েক হাজার বাসিন্দা।

স্থানীয় মানুষজন চাইছেন না কালজানি থেকে বালি তোলা হোক। তাঁরা চান অবিলম্বে বালি খাদান বন্ধ হোক।যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য উজ্জ্বল দাস বলেন, “ওরা বলছে রয়্যালটি দিয়ে করছে। আমরা তো জানি না। বালি তোলা বন্ধ না হলে সমস্যা হবে গ্রামের।” তিনি ইঙ্গিতে বলেন, “তৃণমূলের সবাই তো খারাপ নন।” যদিও, উজ্জ্বল বাবু তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তিনি স্পষ্ট বলেন, এটা প্রশাসনের দেখা উচিত। জয় মল্লিক নামে এক তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, তাঁদের দলেরই স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা বেআইনি ভাবে বালি তোলায় যুক্ত। বারবার বলা হলেও কর্ণপাত করেনি। প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে বালি পাচার হয়।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই আবিদ হোসেন ওরফে সজল মিঞার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে বলেন, “আমি বাইরে আছি। আর রয়্যালটি দিয়েই আমি বালি নিচ্ছি।”