TMC Councillor: এলাকায় মাতলামি? মহিলা কাউন্সিলর নামলেন লাঠি হাতে, দিলেন বারি…
Alipurduar: আলিপুরদুয়ারের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর শান্তনু দেবনাথের বক্তব্য, শহরের সর্বত্র এরকম চলছে। পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যদিও আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ করকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। আগামিদিনে যাতে এরকম ঘটনা আর না ঘটে সকলকেই তা দেখতে হবে।"
আলিপুরদুয়ার: পাড়ার মধ্যে মদ-জুয়ার আসর বসিয়ে পরিবেশ নষ্ট করা? পুলিশের উপর ভরসা না রেখে ময়দানে নেমে পড়লেন এলাকার মহিলা কাউন্সিলরই। হাতের সামনে গাছের ডাল পেয়ে তা দিয়েই দিলেন মার। আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অপরূপা রায়। নিজেই লাঠি হাতে নেশাড়ুদের দিলেন ধোলাই।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার পরিত্যক্ত জায়গাগুলিতে মদ ও গাঁজার আড্ডা বাড়ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছিলেন কাউন্সিলর। স্বভাবতই পরিবেশ একেবারে গোল্লায় যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল। মহিলা, শিশু এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছিলেন।
এরপরই কাউন্সিলর লাঠি হাতে ময়দানে নামেন। দেখেন এলাকায় একটি টোটোয় বসে খুব মদ খাওয়া চলছে। কাউন্সিলর অপরূপা রায় বলেন, “দেখি নেশায় বুঁদ সব। টোটোর চাবিগুলি নিয়ে নিলাম। তাও দেখি হুঁশ ফেরে না। সামনে গাছের ডাল পড়েছিল। দিলাম বারি। কান ধরে ওঠবস করে বলছে আর এখানে কোনওদিনও আসবে না। ক্ষমা করে দিই যেন। আমি পুলিশকেও ফোন করে জানাই। ওরা বলছে ১০০ নম্বরে ফোন করবেন।” তবে কাউন্সিলরের কথায়, ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গে আসতে হবে। তাহলেই এসব রোখা যাবে।
এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, নেশার জিনিস কিনে এনে এভাবে পাড়ায় প্রকাশ্যে আসর বসিয়ে পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। কাউন্সিলরের বক্তব্য, দিনেদুপুরে মদের আসর বসে। লোকজন যেতে পারে না। ওখানে যাদের বাড়ি, তারাও বিড়ম্বনায়। অভিযোগ পেয়ে তাই অভিযানে নামেন।
আলিপুরদুয়ারের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর শান্তনু দেবনাথের বক্তব্য, শহরের সর্বত্র এরকম চলছে। পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যদিও আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ করকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। আগামিদিনে যাতে এরকম ঘটনা আর না ঘটে সকলকেই তা দেখতে হবে।”