Moonlight Tea: দোল পূর্ণিমার রাতে তোলা হয় এই বিশেষ চা পাতা, চা বাগান থেকে ভেসে আসে ধামসা-মাদলের বোল

শুধু দোল পূর্ণিমা নয়, এখন থেকে বছরের প্রতি পূর্ণিমার রাতে কাঁচা চা পাতা তুলে তা বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই চা বাগান কর্তৃপক্ষ।

Moonlight Tea: দোল পূর্ণিমার রাতে তোলা হয় এই বিশেষ চা পাতা, চা বাগান থেকে ভেসে আসে ধামসা-মাদলের বোল
পূর্ণিমার রাতে চলছে চা তোলা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 09, 2023 | 6:54 AM

আলিপুরদুয়ার: পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় (Full Moon Light ) অপরূপ মায়াবী চাবাগানগুলি। প্রকৃতি তার সব সৌন্দর্য যেন উজাড় করে দেয় এখানে। ভরা পূর্ণিমায় চাঁঁদের আলোয় শুধু চা বাগান সুন্দর লাগে এমনই নয়, এই আলোতে তোলা চা-ও স্বাদে অতুলনীয়। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মাঝেরডাবড়ী চা বাগান চলছে সেই চা তোলার কাজ। কিছুটা অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। চাঁদের আলোয় চা বাগানে কাজ করছেন শ্রমিকরা। তুলছেন দু’টি পাতা, একটি কুঁড়ি। প্যাকেজিংয়ের পর এই চা-ই পরিচিতি পাবে ‘মুনলাইট টি’ নামে। মাঝেরডাবড়ী ইতিমধ্যেই ব্লু টি, হোয়াইট টি, জাসমিন টি তৈরি করে নজির গড়েছে। এবার চাঁদের আলোয় চা পাতা তুলে তা প্রক্রিয়াকরণের পর তৈরি হচ্ছে এই মুনলাইট টি।

দোলের পূর্ণচাঁদের সোনালী আলোয় চলেছে দু’টি পাতা, একটি কুঁড়ি সংগ্রহের কাজ। ডুয়ার্সে এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর এই ধরনের চা পাতা তোলার কাজ শুরু করেছে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবড়ী চা বাগান কর্তৃপক্ষ। এই চা তোলাকে বলা হচ্ছে ‘ফুলমুন টি প্লাকিং’। মাঝেরডাবড়ী চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর জানান, বছরে তিনবার পূর্ণিমার রাতে চা তোলা হয়। দোল পূর্ণিমার পাশাপাশি বুদ্ধপূর্ণিমা ও কোজাগরি লক্ষ্মী পূর্ণিমার রাতে। লক্ষ্য একটাই, চায়ের অ্যারোমাকে ভালভাবে কাজে লাগানো।

এই বিশেষ রাতে তোলা কাঁচা চা পাতা নিয়ে যাওয়া হবে কারখানায়। এরপর বাকি প্রক্রিয়া করে পৌঁছে যাবে মার্কেটে। মুনলাইট টি স্বাদে, গন্ধে টেক্কা দেয় অন্য সমস্ত চা কে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্যোৎস্নার আলোয় তোলা চায়ে প্রাকৃতিকভাবে অ্যারোমা তৈরি হয়। কারখানায় প্রস্তুতির পর ওই অ্যারোমা এক নতুন মাত্রা পায়।

শুধু দোল পূর্ণিমা নয়, এখন থেকে বছরের প্রতি পূর্ণিমার রাতে কাঁচা চা পাতা তুলে তা বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই চা বাগান কর্তৃপক্ষ। তবে সাধারণ যে কোনও চায়ের তুলনায় মুনলাইট টির দাম অনেকটাই বেশি হবে। মঙ্গলবার ভরা দোল পূর্ণিমার রাতে সোনালী আলো গায়ে মেখে তুমুল উৎসাহে ওই অভিনব চায়ের উৎসবে সামিল হয়েছিলেন ওই চা বাগানের শ্রমিকরা।

শুধু মাত্র চাঁদনির আলোর উপর ভরসা না রেখে বাগানটির কয়েকটি নির্দিষ্ট সেকশনে শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জ্বালানো হয়েছিল বিশাল বিশাল মশাল। শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ টর্চ লাইট। তাতে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমানতাও অনেকটাই বেড়ে যায়।

দোলের রঙের সঙ্গে কোথায় যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল পূর্ণ চাঁদের সোনালী আলো আর কাঁচা চায়ের গাঢ় সবুজ রং। দোল পূর্ণিমায় মাঝেরডাবড়ী চা বাগানের ১০ হেক্টর এলাকা জুড়ে ধামসা মাদলের তালে তাল মিলিয়ে সারা রাত ধরে চলে এই বিশেষ চা তোলার কাজ।