পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক, বধূকে নগ্ন করে ঘোরানো হল গ্রামে! একবিংশ শতাব্দীতেও কমতি নেই ঘৃণ্য বর্বরতার

পুলিশ সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে অন্য এক পুরুষকে ভালবেসে ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু সে সম্পর্ক চুকিয়ে আবারও স্বামীর কাছেই ফিরে আসেন।

পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক, বধূকে নগ্ন করে ঘোরানো হল গ্রামে! একবিংশ শতাব্দীতেও কমতি নেই ঘৃণ্য বর্বরতার
নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 14, 2021 | 9:47 PM

আলিপুরদুয়ার: মধ্যযুগীয় বর্বরতা একবিংশ শতকেও। পরকীয়ার অভিযোগে এক আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে মারধরের অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) পশ্চিম চ্যাংমারিতে। সালিশি সভা ডেকে ওই মহিলাকে মারধর করার নিদান দেন মোড়লরা। তারপরই ওই মহিলাকে সকলের সামনে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে তাঁকে গোটা গ্রামও ঘোরানো হয়। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম ভবেশ কুজুর, দীপন টোপ্পো ও সুজিত লাকড়া। তিনজনকেই পুলিশ সোমবার আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলে। অন্যদিকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে অন্য এক পুরুষকে ভালবেসে ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু সে সম্পর্ক চুকিয়ে আবারও স্বামীর কাছেই ফিরে আসেন। স্বামীও স্ত্রীকে গ্রহণ করেন ভালবেসেই। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে গেলেও তাতে শান্তি পায়নি গ্রামের মাতব্বররা। অভিযোগ, গ্রামের মোড়লের নজর পড়ে ওই পরিবারের দিকে। তাঁরই নির্দেশে আদিবাসী গৃহবধূকে এ ভাবে নির্যাতন ও হেনস্তা করা হয়।

আরও পড়ুন: তমলুক থেকে বন্দুক, গুলি-সহ গ্রেফতার ‘শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ’ আরমান ভোলা

অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আদিবাসী ওই দম্পতিকে সালিশি সভায় হাজির থাকার নির্দেশ দেন গাঁয়ের মোড়লরা। সেখানে দম্পতি গেলে মাতব্বররা নিদান দেন, পরকীয়ায় লিপ্ত ওই আদিবাসী মহিলাকে গ্রামে বিবস্ত্র করে ঘোরাতে হবে। শুধু তাতেই ক্ষান্ত হননি মাতব্বরের দল। ওই মহিলার স্বামীকে সমাজচ্যুত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ভিডিয়োটি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই পুলিশের কানে পৌঁছয় খবর। শুরু হয় তল্লাশি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সব নামই পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে।