Soumitra Khan vs Abhishek Banerjee: ‘কয়লার টাকা খাওয়া গৃহলক্ষ্মীর দরকার নেই,’ অভিষেককে প্রত্যাঘাত সৌমিত্রর
Abhishek Banerjee: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বাড়ির লক্ষ্মীও রাখতে পারে না। সুজাতাও চলে এসেছে। যে বাড়ির লক্ষ্মীও রাখতে পারে না, সে আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে আক্রমণ করছে।’ এবার তার পাল্টা দিলেন সৌমিত্র।
বাঁকুড়া: সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বাঁকুড়া (Bankura) জেলায় বিশেষ নজর তৃণমূলের। অতীতে উনিশের লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া থেকে দুইজন সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। পরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও ১২টি আসনের মধ্য়ে আটটিতে জিতেছিল বিজেপি। আর এদিন পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বাঁকুড়ার ওন্দার সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee) বার বার নিশানা করলেন বাঁকুড়ার দুই সাংসদকে। খোঁচা দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে (Soumira Khan)। বিজেপিকে একহাত নিয়ে বললেন, ‘আমাদের চোখে যদি কারও দুর্নীতি ধরা পড়ে, আমরা তাঁদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করেছি। আর আপনারা (বিজেপি) পুরস্কৃত করে মাথায় তুলে রেখেছেন। আপনাদের সম্পদের নাম সৌমিত্র খাঁ, বালি মামলায় অভিযুক্ত। এসএসসি-তে সুজাতার (Sujata Mondal) পরিবারের সদস্যদের ছাড়েনি। সুজাতা আরও ভাল জানে। কিন্তু ওরা যে ভাষায় আক্রমণ করছে, সেই ভাষায় উত্তর দেওয়া আমাদের সংস্কৃতি নয়। তবে সৌজন্যতা তৃণমূলের দুর্বলতা নয়।’
শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিজেপির নাগাড়ে আক্রমণের জবাবও দিয়েছেন ওন্দার সভামঞ্চ থেকে। নাম না করে সৌমিত্র খাঁকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বাড়ির লক্ষ্মীও রাখতে পারে না। সুজাতাও চলে এসেছে। যে বাড়ির লক্ষ্মীও রাখতে পারে না, সে আবার লক্ষ্মীর ভান্ডারকে আক্রমণ করছে।’
অভিষেকের এই মন্তব্যের পর যোগাযোগ করা হয়েছিল সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গেও। তিনি জানাচ্ছেন, ‘সৌমিত্রর বিরুদ্ধে শুধু বালিই নয়, অস্ত্র আইনেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য অভিযোগও রয়েছে। চাকরি নিয়ে কী করেছেন, সেটা শুধুমাত্র সৌমিত্রই বলতে পারবেন। তাঁর নাম মুখে আনতে আমার ঘৃণা হয়। তিনি এমন এমন কাজ করেছেন যে মানুষের সামনে দাঁড়াতে পারছেন না। যত গরম বাড়ছে তাঁর মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটছে। আমার মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।’
যদিও অভিষেকের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। বলছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে তো সিআইডি তদন্ত করিয়েছিলেন। এক টাকা যদি চুরি করে থাকি, ফাঁসির মঞ্চে উঠতে রাজি আছি।’ পাল্টা দিয়েছেন অভিষেকের ঘরের লক্ষ্মী মন্তব্য নিয়েও। বলছেন, ‘আমরা এমন ঘরের লক্ষ্মী চাই না যাঁরা কয়লার টাকা খায়। রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে ১৬৮ কোটি টাকা অশোক মিশ্রর মাধ্যমে বিনয় মিশ্রর নির্দেশে লালার কাছ থেকে গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এর জবাব দিন।’