Bankura: হেলমেট না পরায় চলছিল ধরপাকড়, পুলিশকর্মীর সঙ্গে হম্বিতম্বির অভিযোগ তৃণমূল নেতা এসে বিরুদ্ধে

Bankura: যে বাইক আরোহীরা হেলমেট ব্যবহার করছিলেন না, বা যাঁদের কাছে বাইকের বৈধ নথিপত্র ছিল না, তাঁদের থামিয়ে জরিমানা করছিলেন পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ আচমকাই সেখানে পৌঁছে যান তৃণমূলের জয়পুর ব্লকের সভাপতি ইয়ামিন শেখ।

Bankura: হেলমেট না পরায় চলছিল ধরপাকড়, পুলিশকর্মীর সঙ্গে হম্বিতম্বির অভিযোগ তৃণমূল নেতা এসে বিরুদ্ধে
পুলিশের সঙ্গে বচসা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2022 | 10:20 PM

বাঁকুড়া : রাজ্যজুড়ে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে দেখা যায় পুলিশকে। ট্র্যাফিক আইন ভাঙতে দেখলেই কড়া পদক্ষেপ করতে দেখা যায় পুলিশকে। এবার সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই তৃণমূল ব্লক সভাপতির হম্বিতম্বির মুখে পড়তে হল পুলিশকর্মীকে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর এলাকায়। যে বাইক আরোহীরা হেলমেট ব্যবহার করছিলেন না, বা যাঁদের কাছে বাইকের বৈধ নথিপত্র ছিল না, তাঁদের থামিয়ে জরিমানা করছিলেন পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ আচমকাই সেখানে পৌঁছে যান তৃণমূলের জয়পুর ব্লকের সভাপতি ইয়ামিন শেখ। পুলিশকে তিনি বলেন, বাজার এলাকা থেকে সরে গিয়ে অন্যত্র এই চেকিং করার জন্য। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে এরপ্রস্থ বচসাও হয়ে যায় তাঁর।

ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে ওই তৃণমূল নেতা পুলিশকর্মীকে বলছেন, “আপনি লোকালে কেন গাড়ি ধরবেন?” পুলিশকর্মীর সঙ্গে বচসা চলাকালীন এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, “এনাকে অ্যারেস্ট করে ঢুকিয়ে দিন না। বেকার তর্ক করছেন।” উল্লেখ্য, ওই সময়ে একটি বাইক, যেটির নম্বর প্লেট হয়নি, সেটির চ্যাসিস নম্বর লিখছিলেন পুলিশকর্মীরা। যদিও পরবর্তী সময়ে তৃণমূল ব্লক সভাপতি ইয়ামিন শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই বাইকটি তাঁর ছিল না।

তৃণমূল নেতার দাবি, পুলিশ বাজারের মধ্যে স্থানীয়দের বাইক আটক করে জরিমানা করতে থাকায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। তিনি ট্রাফিক পুলিশদের এই কর্মকাণ্ড বাজারে না করে বাজারের বাইরের রাস্তায় করার কথা বলতে গিয়েছিলেন বলে দাবি ইয়ামিন শেখের। যদিও তৃণমূল ব্লক সভাপতির এ হেন আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে স্থানীয় বিজেপি শিবির। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, “অনুব্রত মণ্ডল পুলিশকে বোম মারতে বলেছিল। তাতে কিছু হয়নি। দল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আর তৃণমূল কংগ্রেস তো দল নয়। এটা প্রাইভেট কোম্পানি। এই কোম্পানিতে যারা কাজ করছে, তারা নিজেদের রোজগারের জন্য করছে। এদের দম্ভ এতটাই। সেই কারণেই উপর তলা থেকে নীচের তলা পর্যন্ত সবাই এমন ভাষা ব্যবহার করেন।”