Hospital in Bankura: শুধুই যেন অন্ধকারের রাজত্ব, রাত নামলেই সমাজ বিরোধীদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হয়ে যাচ্ছে এই হাসপাতালও

Hospital in Bankura: বাঁকুড়া শহরের এক প্রান্তে রয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগ, চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের আবাসন, লেডিজ হোস্টেল সহ পাঁচটি চিকিৎসক পড়ুয়াদের হস্টেল। কিন্তু, সর্বত্রই নিরাপত্তার অভাব প্রকট।

Hospital in Bankura: শুধুই যেন অন্ধকারের রাজত্ব, রাত নামলেই সমাজ বিরোধীদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হয়ে যাচ্ছে এই হাসপাতালও
মহিলা চিকিৎসকদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2024 | 10:46 AM

বাঁকুড়া: রাতের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ যেন আতঙ্কপুরী। সুবিশাল চত্বর জুড়ে শুধুই অন্ধকারের রাজত্ব। অভিযোগ, হাসপাতালের ক্যাম্পাসে বেড়েছে সমাজবিরোধীদের দাপট। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রোগীর পরিজন থেকে শুরু করে মহিলা চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মী ও রোগীর পরিজনেরা। দিনের বেলায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ চত্বর রোগী, রোগীর পরিজনে ঠাসা। কিন্তু রাত নামলেই সেই মেডিক্যাল কলেজ চত্বরই হয়ে ওঠে শুনশান। সুবিশাল মেডিক্যাল কলেজ চত্বর জুড়ে তখন শুধুই অন্ধকার আর সমাজ বিরোধীদের দাপট। অনেকেই বলছেন, রাত নামলেই যেন আতঙ্কপুরী হয়ে ওঠে মেডিক্যাল চত্বর। চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতাকে সঙ্গী করেই অন্ধকারের বুক চিরে যাতায়াতে বাধ্য হন রোগীর পরিজন থেকে শুরু করে মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়া ও চিকিৎসা কর্মীরা। 

বাঁকুড়া শহরের এক প্রান্তে রয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন বিভাগ, চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের আবাসন, লেডিজ হোস্টেল সহ পাঁচটি চিকিৎসক পড়ুয়াদের হস্টেল। দিনের বেলায় বাঁকুড়া ও আশপাশের জেলা থেকে আসা রোগী,  রোগীর পরিজন, রাস্তার ধারের দোকান করা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর আনাগোনায় গোটা হাসপাতাল চত্বর থাকে সরগরম। নিরাপত্তার ফাঁক ফোঁকর তখন সেভাবে চোখে পড়ে না। কিন্তু, রাত নামলেই ফাঁকা হতে শুরু করে হাসপাতাল চত্বর। রাত যত গভীর হয় ততই শুনশান। 

রাত হলেই বাড়ে সমাজ বিরোধীদের দাপট 

হাসপাতালের সুবিশাল চত্বরের বেশিরভাগ অংশ ঢাকা পড়ে যায় ঘন অন্ধকারে। কিছু আলো টিমটিম করে জ্বললেও অধিকাংশ আলো মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বছরভর খারাপ হয়ে পড়ে থাকে বলে অভিযোগ। আর সেই অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বাড়তে থাকে সমাজবিরোধীদের দাপট। হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন এলাকায় বসে বহিরাগতদের মদ ও গাঁজার ঠেক। মদ্যপ যুবকেরা দাপিয়ে বেড়ায় হাসপাতাল চত্বর জুড়ে। এ থেকে নিস্তার কবে? আরজি করের ঘটনার প্রশ্ন প্রশ্ন তুলছেন রোগী থেকে রোগীর আত্মীয়রা।  

প্রশ্নের মুখে মহিলাদের নিরাপত্তা

হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নামকেওয়াস্তে একজন করে নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও চিকিৎসার প্রয়োজনে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে যেতে হলে রোগীর পরিজন, চিকিৎসা কর্মী ও চিকিৎসকদের পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ অন্ধকার পথ। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েন মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়ারা। হাসপাতালের গোবিন্দনগর চত্বর থেকে ৫০০ মিটারেরও বেশি দূরে রয়েছে লেডিজ হস্টেল। অন কল ডিউটি করতে এতটা দীর্ঘ পথ পেরিয়ে রাত বিরেতে প্রায়শই হাসপাতালে ছুটে আসতে হয় তাঁদের। যে পথের বেশিরভাগ অংশই অন্ধকারে ঢাকা। এই পথে নিরাপত্তারও কোনো বালাই নেই। এই রাস্তা তো বটেই, হাসপাতাল চত্বরের বেশিরভাগ অংশেই নেই সিসি ক্যামেরা। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে হাসপাতাল থেকে হস্টেল যাতায়াতের পথে এমনকি হাসপাতাল চত্বরেই এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে যাতায়াতের পথে মাঝেমধ্যেই ইভটিজিং এর শিকার হতে হয় মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়া থেকে শুরু করে মহিলা চিকিৎসা কর্মী এমনকি রোগীর পরিজনেদেরও। 

হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও হাসপাতাল চত্বরে নিয়মিত পুলিশ টহল চোখে পড়েনা বলেই অভিযোগ মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়াদের। স্বাভাবিকভাবেই একরাশ ভয় আর আতঙ্ক নিয়েই বছরের পর বছর ধরে যাতায়াত করতে বাধ্য হন মহিলা চিকিৎসক পড়ুয়া থেকে শুরু করে রোগীর পরিজনেরা । হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে বারংবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর দ্বারস্থ হয়েছেন পড়ুয়ারা। উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ। কিন্তু হাল ফেরেনি। আর জি করের ঘটনার পর সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। এবার কী ফিরবে হাল? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। 

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)