Bankura Medical: ‘আমাদেরও তো জীবন আছে দাদা’, কর্মবিরতি চলছে বাঁকুড়া মেডিক্যালে

Bankura: অবিলম্বে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হোক বলে দাবি তুলে রবিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন রোগীর পরিজনেরা। আন্দোলনে নামা রোগীর পরিজনদের দাবি, জুনিয়র চিকিৎসকরা লাগাতার কর্মবিরতি করায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবাটুকু মিলছে না।

Bankura Medical: 'আমাদেরও তো জীবন আছে দাদা', কর্মবিরতি চলছে বাঁকুড়া মেডিক্যালে
কর্মবিরতির ডাক ইন্টার্ন, হাউজস্টাফ, পিজিটিদের। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2024 | 8:56 PM

বাঁকুড়া: জুনিয়ার চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হাসপাতালে। তারই প্রতিবাদে পাল্টা রাস্তা অবরোধে নামলেন রোগীর পরিজনেরা। অভিযোগ, জুনিয়র চিকিৎসকরা দু’দিনের কর্মবিরতি ডেকেছেন। তাতে লাটে উঠেছে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। এরই প্রতিবাদে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর পরিজনেরা এবার পথে।

অবিলম্বে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হোক বলে দাবি তুলে রবিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন রোগীর পরিজনেরা। আন্দোলনে নামা রোগীর পরিজনদের দাবি, জুনিয়র চিকিৎসকরা লাগাতার কর্মবিরতি করায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবাটুকু মিলছে না।

তাঁদের অভিযোগ, দূর দূরান্ত থেকে মরণাপন্ন রোগী নিয়ে এসেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। অথচ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ছাড়া যাওয়ার জায়গাও নেই। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, যতক্ষণ না জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে।

যদিও আন্দোলনকারী এক পড়ুয়া বলেন, “এখানেও রাতে নানারকম লোক ঢুকে পড়ছে। তা থেকে আমাদের নিরাপত্তা তো চাই। আমাদের স্যর, ম্যাডামদের দাবিদাওয়া জানিয়েছি। সেগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এখানে আছি। আর চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে না। জেনারেল এমার্জেন্সি পরিষেবা চালু আছে। ইন্ডোর পরিষেবাও দিচ্ছেন স্যর, ম্যাডামরা। আর আমাদেরও তো জীবন আছে দাদা। আমরাও তো বেঁচে থাকতে চাই। একটা ডাক্তারদের অনকল রুম নেই, ২৪ ঘণ্টা করে ডিউটি করে যারা তাদের থাকার ব্যবস্থা নেই। এত বড় একটা ক্যাম্পাস, আমাদের একটা ক্যান্টিন নেই। আমাদের দাবিগুলো তো বেসিক নিডস। এর জন্য রোগীদের কোনও কষ্ট হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু আমাদের ক্ষমা করে দিয়ে ওনারা আমাদের পাশে থাকুক চাইব।”