Bankura: বাঁকুড়ার তন্ময় ঘোষের পর এবার কোন বিধায়ক কেন্দ্রীয় এজেন্সির র্যাডারে? নাম বলেই দিলেন শুভেন্দু
Bankura: এবার কী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের তদন্তের মুখে পড়তে চলেছেন বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া কোতুলপুরের বিধায়ক? সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল
বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের পর এবার কি কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের মুখে পড়তে চলেছেন কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার? বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক হরকালী প্রতিহারকে নিয়ে যে মন্তব্য করছেন, তার পর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রয়েছে হরকালীর। তবে শুভেন্দু অধিকারীর সেই ইঙ্গিতকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন হরকালী প্রতিহার। পাল্টা দাবি করলেন, যদি তদন্ত হয়, তার মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত।
গত বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের পরিবারের চালকল, মদের দোকান, লজ ও বিধায়ক কার্যালয়ে একযোগে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। এক টানা ৫৩ ঘণ্টা ধরে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা বিধায়কের পরিবারের চালকলে তল্লাশি চালান। শুক্রবার দুপুরের পর আয়কর দফতরের আধিকারিকরা রওনা দেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। তন্ময় ঘোষের চালকলে আয়কর তল্লাশি শেষ হতেই এবার বাঁকুড়া জুড়ে জোর চর্চায় কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার।
এবার কী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের তদন্তের মুখে পড়তে চলেছেন বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া কোতুলপুরের বিধায়ক? সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুরে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছেন খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “এবার হরকালীর পালা। হরকালী অনেকদিন ধরেই বিচ্ছিন্ন ছিল। হরকালী সেটিংয়ের দলে ছিল। বাঁকুড়ায় বাড়ি হল কোথা থেকে? হরকালীর পালা এবারে। হরিবোল বাজিয়ে ছেড়ে দেব।” হরকালী প্রতিহারের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার বাড়ির কথা উল্লেখ করে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগও করেন বিরোধী দলনেতা।
হরকালী প্রতিহার অবশ্য বিরোধী দলনেতার অভিযোগকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, তিনি নিজে পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষক। স্ত্রী বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের নার্স। রাজনীতিতে আসার আগে ২০১২ সালে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে বাঁকুড়া শহরের প্রনবানন্দ পল্লিতে দোতলা এই বাড়ি তিনি তৈরি করিয়েছেন। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন কোনও সম্পত্তিও তাঁর নেই বলে দাবি তাঁর। হরকালী বলেন, “আমার তো এবার মনে হচ্ছে ওঁর অঙ্গুলি হেলনেই ইডি-সিবিআই সব চলছে। তাহলে নিশ্চয়ই ওঁ যেখানে যাকে পাঠাবে, তারা আসবে। আমরা চাকরি করি। আইটি ফাইল করি। যা চাইবে দেখাব।” এরপরও বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে কেন্দ্রীয় কোনো তদন্তকারী এজেন্সি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করলে তিনি সবদিক থেকে প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, তন্ময় ঘোষের মতোই বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন। তারপরে তৃণমূলে গিয়েছিলেন। তবে বিধানসভায় তাঁর পরিচিতি গেরুয়া প্রতিনিধি হিসাবেই। বিধানসভায় হরকালীর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “তিনি যদি নিজে আমার কাছে এসে বলেন তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছে, সদস্যপদ সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ করে দেব। বিজেপি ছেড়েছেন কিনা, আমাদের কাছে এসে পিটিশন দিতে হবে। আমাদের স্পষ্ট করে বলতে হবে আমি সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু এরকম কেউই বলেননি।”
এদিকে, এবার শুক্রবার নন্দীগ্রাম দিবসের দিন মঞ্চ থেকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রে পালাবদল হলে এক মাসের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীও গ্রেফতার হবেন। কেন্দ্রে সরকার গঠন করবে ইন্ডিয়া জোট।”