Bankura News: পুকুরের অতলেই ছিল রহস্য! না জেনে খোঁড়াখুঁড়ি করতেই হাতে লাগল ‘গুপ্তধন’
Bankura: বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাজশোল এলাকা একসময় মল্ল রাজাদের রাজত্বের অংশ। রাজশোল গ্রামের অদূরে থাকা প্রদ্যুম্নপুর গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে ছিল মল্ল রাজাদের রাজধানী। সেই রাজশোলেই এর আগে একাধিক প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার হয়েছিল।

বাঁকুড়া: সংস্কারের জন্য শুরু হয়েছিল পুকুর খননের কাজ। আর খোঁড়া-খুঁড়ির কাজ করতে গিয়েই ছড়াল চঞ্চাল্য বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাজশোল গ্রামে। কারণ, পুকুর খননের সময় উদ্ধার হল পাথরের ওই দেব মূর্তি। প্রত্ন গবেষকদের দাবি, মূর্তিটি কমপক্ষে হাজার বছরের পুরনো।
বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাজশোল এলাকা একসময় মল্ল রাজাদের রাজত্বের অংশ। রাজশোল গ্রামের অদূরে থাকা প্রদ্যুম্নপুর গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে ছিল মল্ল রাজাদের রাজধানী। সেই রাজশোলেই এর আগে একাধিক প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার হয়। এবার ওই গ্রামেরই ফুলবাঁধ খননের সময় উদ্ধার হল আরও একটি পাথরের মূর্তি।

এই মূর্তি উদ্ধার হয়েছে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ফুলবাঁধ নামের ওই পুকুর মজে যায়। মজে যাওয়া ওই পুকুরটি খনন করে সংস্কারের কাজ শুরু হয় সম্প্রতি। পে লোডার দিয়ে পুকুরের মাটি কেটে ফেলা শুরু হয়। এরপরই পে লোডারে মাটির সঙ্গে উঠে আসে পাথরের মূর্তিটি। মূর্তিটি কোন দেব বা দেবীর তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্ন গবেষকদের ধারণা উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি আসল মূর্তির পার্শ্ব মূর্তি হয়ে থাকতে পারে। মূর্তিটি নবম ও দশম শতকে তৈরি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে প্রত্ন গবেষকরা।
কার্তিক পাল নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমি রাস্তায় বেরিয়ে যেতে দেখলাম পাঁকের সঙ্গে কিছু জড়িয়েছে। সেটা পরিষ্কার করতেই দেখা গেল একের পর এক মূর্তি বেরিয়ে আসেছে। তবে বিষ্ণ না লক্ষ্মী নারায়ণ, না মনসা বুঝতে পারছি না।”





