জেরায় নিজেই বলেছেন নাম, টেন্ডার দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠও

Bankura: দিলীপ গড়াই বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন ওভারশেয়ার। টেন্ডার দুর্নীতিতে তাঁর সক্রিয় যোগ রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

জেরায় নিজেই বলেছেন নাম, টেন্ডার দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠও
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2021 | 11:42 AM

বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুর টেন্ডার দুর্নীতি কান্ডে গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসারকে। ধৃত দিলীপ গড়াই প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে জেরা করেই তাঁর নাম উঠে এসেছে পুলিশের হাতে।

দিলীপ গড়াই বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন ওভারশেয়ার। টেন্ডার দুর্নীতিতে তাঁর সক্রিয় যোগ রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাসের জন্য ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন নি দিলীপ। একাধিক বিষয়ে কথায় অসঙ্গতিও রয়েছে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে। আজ তোলা হবে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে।

মঙ্গলবার সকালে প্রাক্তন মন্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়। আর বিকালে পুরসভায় হানা দেয় পুলিশ। বিষ্ণুপুর টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডের নতুন নতুন কিছু তথ্য হাতে আসার পরই জোরকদমে এই মামলার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেই প্রায় ১০ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন পুর প্রশাসক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজরদারি শুরু হয়। তার পর এদিন বিকালেই ফের বিষ্ণুপুর পুরসভায় হানা দেন পুলিশ কর্তারা।

বিষ্ণুপুর পুরসভার অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি রবীন্দ্রনাথ সরকারকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রায় এক ঘণ্টা। তার পর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিষ্ণুপুর থানায় তলব করা হয় বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসার দিলীপকে।

পুলিশ এই আধিকারিক প্রাক্তন আধিকারিকদের ঠিক কী কী বিষয়ে জেরা করেছেন, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি কোনও পক্ষই। তবে থানায় ঢোকার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ। তিনি বলেন, “আমাকে ডাকা হয়েছে, তাই এসেছি। কেন ডাকা হল জানি না।” অবশ্য রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে জমা করা হলফনামায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হলফনামা রিপোর্টও খতিয়ে দেখবে পুলিশ বলে জানা গিয়েছে। গত ৩৪ বছর ধরে বিষ্ণুপুর পুরসভায় চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সেসময় একাধিক প্রকল্পের টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রকল্পগুলিতে কোনও কাজই হয়নি। মহকুমা শাসকের তরফে তদন্ত শুরু হয়। পরে রিপোর্ট জমা দেয় চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার। তদন্তে দুর্নীতির একাধিক তথ্য উঠে আসছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন তিনি তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন। এবারে ভোটের আগে পালাবদলের মরশুমে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি। এই ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত তা জানাক চেষ্টা করা হচ্ছে।  এই ঘটনা ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। গত রবিবারই টেণ্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকেই আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন: তথ্য তালাসের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে সিবিআই, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে এবার ‘স্পেশ্যাল ১০৯’