Bankura: ‘প্রাণটা বুঝি এই যায়…’, কখনও বেডের নীচ থেকে , কখনও আলমারির পাশ থেকে উঁকি মারছে, ‘লাটে’ বাঁকুড়ার হাসপাতালের চিকিৎসা

Bankura: শুধু হাসপাতাল চত্বরেই নয়, মাঝেমধ্যেই কালাচ, চন্দ্রবোড়ার মতো বিষধর সাপ ঢুকে পড়ছে ইন্ডোরের ওয়ার্ড গুলিতেও। ভর্তি থাকা রোগীর বেডের পাশেই ঘাপটি মেরে বসে থাকা বিষধর সাপ হাসপাতাল কর্মী ও রোগীর পরিজনদের চোখে পড়েছে একাধিকবার। বর্ষায় হাসপাতাল জুড়ে বেড়েছে সাপের এই উপদ্রব।

Bankura: 'প্রাণটা বুঝি এই যায়...', কখনও বেডের নীচ থেকে , কখনও আলমারির পাশ থেকে উঁকি মারছে, 'লাটে' বাঁকুড়ার হাসপাতালের চিকিৎসা
তালডাংড়া হাসপাতালে ভয়ঙ্কর কাণ্ড!Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2024 | 11:48 AM

বাঁকুড়া: দৃশ্যত যেন চিড়িয়াখানার সাপের ঘর। কখনও টেবিলের নীচ থেকে, কখনও চেয়ারের ফাঁক দিয়ে, কখনও আবার আলমারির নীচে থেকে… মাঝেমধ্যেই মুখে বেরিয়ে আলছে তাদের। কখনও কালাচ, কখনও চন্দ্রবোড়া, কখনও আবার কেউটে… কোনও পরিত্যক্ত বাড়ি নয়। এ দৃশ্য হাসপাতাল চত্বরের। অভিযোগ, ইন্ডোর ওয়ার্ড থেকে শুরু করে হাসপাতাল কর্মীদের বসার জায়গায় মাঝে মধ্যেই বের হচ্ছে কালাচ, চন্দ্রবোড়া-সহ বিভিন্ন বিষধর সাপ। আতঙ্কে কাঁটা বাঁকুড়ার তালডাংড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী, রোগীর পরিজন, চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরাও।

চিকিৎসার জন্য এই বাঁকুড়ার তালডাংড়া গ্রামীণ হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল তালডাংড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী ওন্দা, সিমলাপাল এমনকি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাংশের রোগীও এই হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের পৃথক মেল, ফিমেল ও স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ৪০ টি বেড রয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে রয়েছে আউটডোর সহ অন্যান্য পরিষেবাও। প্রতিদিন কয়েকশো রোগী চিকিৎসার আশায় এই হাসপাতালে আসেন। কিন্তু সেই হাসপাতালই সাপের আতঙ্ক মারাত্মক আকার নিয়েছে।

শুধু হাসপাতাল চত্বরেই নয়, মাঝেমধ্যেই কালাচ, চন্দ্রবোড়ার মতো বিষধর সাপ ঢুকে পড়ছে ইন্ডোরের ওয়ার্ড গুলিতেও। ভর্তি থাকা রোগীর বেডের পাশেই ঘাপটি মেরে বসে থাকা বিষধর সাপ হাসপাতাল কর্মী ও রোগীর পরিজনদের চোখে পড়েছে একাধিকবার। বর্ষায় হাসপাতাল জুড়ে বেড়েছে সাপের এই উপদ্রব। রোগী, রোগীর পরিজন ও হাসপাতালের কর্মীদের দাবি বর্ষা শুরু হতে না হতেই হাসপাতাল ঢাকা পড়েছে আগাছার ঝোপ ঝাড়ে। আর সেখানেই ডেরা বেঁধেছে বিভিন্ন বিষধর সাপ।

সুযোগ বুঝে সেই সাপই ঢুকে পড়ছে হাসপাতালের ভিতরে। রোগী ও রোগীর পরিজনদের আশঙ্কা চিকিৎসা করাতে এসে সাপের ছোবলে যে কোনওদিন বড়সড় বিপদের মুখে পড়তে পারে রোগী ও রোগীর পরিজনরা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতিমধ্যেই সাপের উপদ্রব ঠেকাতে হাসপাতাল চত্বর জুড়ে কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ানো হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে ঝোপ ঝাড় সাফ করারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তালডাংড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিজিৎ মণ্ডল বলেন, “সাপ বেরোচ্ছে। বর্ষায় এখানে সাপ বেরোয়। কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঝোপঝাড় পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”