Bankura: এখানেও কোন্দল! নির্দিষ্ট দিনে বাঁকুড়া জেলা পরিষদে স্থায়ী সমিতি গঠনই করতে পারল না তৃণমূল

Bankura: রাজ্যে সদ্য শেষ হওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলা পরিষদে ব্যাপক সাফল্য পায় তৃণমূল। ওই জেলা পরিষদের ৫৬ টি আসনের মধ্যে ৫৫ টি আসনে জয় পায় তৃণমূল।

Bankura: এখানেও কোন্দল! নির্দিষ্ট দিনে বাঁকুড়া জেলা পরিষদে স্থায়ী সমিতি গঠনই করতে পারল না তৃণমূল
স্থায়ী সমিতি গঠন করতে পারল না তৃণমূলImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2023 | 4:39 PM

বাঁকুড়া: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। নির্ধারিত দিনে বাঁকুড়া জেলা পরিষদে স্থায়ী সমিতি গঠনই করতে পারল না তৃণমূল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। নির্ধারিত দিনে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সিংহভাগ নির্বাচিত সদস্য জেলা পরিষদে হাজির না হওয়ায় স্থায়ী সমিতি গঠনই করতে পারল না তৃণমূল। এর জেরে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে।

রাজ্যে সদ্য শেষ হওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলা পরিষদে ব্যাপক সাফল্য পায় তৃণমূল। ওই জেলা পরিষদের ৫৬ টি আসনের মধ্যে ৫৫ টি আসনে জয় পায় তৃণমূল। এরপরই ওই জেলা পরিষদেকে সভাধিপতি ও সহকারি সভাধিপতির আসনে বসবে তা নিয়ে দলের অন্দরে শুরু হয় ব্যাপক কোন্দল। সেই কোন্দল কাটিয়ে গত ১৪ অগষ্ট সভাধিপতি ও সহকারি সভাধিপতি নির্বাচন করে তৃণমূল।

এবার জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে একই পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা মোট ১০ টি স্থায়ী সমিতি গঠন করবেন। অর্থের স্থায়ী সমিতি বাদ দিলে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই ৯ টি স্থায়ী সমিতির প্রতিটিতে একজন করে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবেন। পূর্ত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী ও শিশু কল্যাণ, বন ও ভূমি সহ দশটি বিভাগের স্থায়ী সমিতিই আগামীদিনে জেলার উন্নয়নের ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে।

সেই স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য শুক্রবার বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জেলা পরিষদের প্রতিটি সদস্যকে জেলা পরিষদে হাজির থাকার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত এই দিনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী জেলা পরিষদের সিংহভাগ সদস্যই হাজির হননি জেলা পরিষদে। সূত্রের খবর, দলীয় ভাবে সমিতির সদস্যদের নাম ও কর্মাধ্যক্ষদের নাম চূড়ান্ত না হওয়াতেই এদিন স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্যরা জেলা পরিষদে হাজির হননি। বিরোধীদের দাবি, জেলা পরিষদ অর্থের মূল ভান্ডার। কর্মাধ্যক্ষ ও স্থায়ী সমিতির সদস্য হয়ে কে বা কারা সেই বিপুল অর্থের ভাগ ও কাটমানি নেবে, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই চলছে জোর কোন্দল। সেই কোন্দলের জেরেই এদিন স্থায়ী সমিতি গঠন করতে পারেনি তৃণমূল।

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের অন্দরে এই কোন্দলের জেরে স্থায়ী সমিতি গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ায় আপাতত জেলার উন্নয়নের কাজ স্তব্ধ হয়ে থাকবে।  প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য দেবু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “৫৬ টার মধ্যে ৫৫ টা জিতেছে। সেটা যেভাবেই জিতুক। কিন্তু জিতলেও ঝামেলা তো ওদের চলছেই। কোন কর্মাধ্যক্ষ বসবে… এখন কমিশন এজেন্টরা চিন্তা করছেন কে কর্মাধ্যক্ষ হবেন, তা নিয়েই ঝগড়া। আসলে এটা কাটমানির লড়াই। মানুষের কাজ তো স্তব্ধ হয়ে গেল। ”

তৃণমূল নেতৃত্ব এবং বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি দলীয় কোন্দলের তত্ত্ব মানতে নারাজ। তৃনমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “আজকে অনেকেই পঞ্চায়েতের কিছু গঠনের কাজ রয়েছে। সেখানে অনেকে আটকে গিয়েছেন, আসতে পারেননি।”