Bankura: বিজেপির জেলা কমিটি থেকে বাদ! কারও গলা বুজে এল, কেউ নামলেন আন্দোলনে

BJP: অন্যদিকে ওন্দায় বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার অনুগামী হিসাবে পরিচিত হওয়ায় নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার একাধিক জেলা কমিটি সদস্য।

Bankura: বিজেপির জেলা কমিটি থেকে বাদ! কারও গলা বুজে এল, কেউ নামলেন আন্দোলনে
অভিমান, ক্ষোভ ফের বিজেপির অন্দরে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2022 | 6:19 PM

বাঁকুড়া: জেলা কমিটি ঘোষণা হতেই ফের সুর চড়ছে বিজেপির অন্দরে। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার কমিটি ঘোষণা হতেই ক্ষোভের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। এর আগে রাজ্য কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর জেলার বিধায়কদের মধ্যে অসন্তোষের অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি বিজেপির তরফে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলার জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে বাদ পড়েছেন বেশ কয়েকজন সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী। বাদ পড়া সদস্য ও পদাধিকারীদের অধিকাংশের দাবি, এই কমিটি তৈরি হয়েছে লবি মেনে। সে কারণেই পছন্দের লোকজন ছাড়া বাকিদের ছেঁটে ফেলা হয়েছে।

বিজেপির বাঁকুড়ার সাংগঠনিক জেলা কমিটি থেকে এবার বাদ দিয়েছে এত দিনের জেলা সহ সভাপতি রূপা চক্রবর্তীর নাম। এ নিয়ে বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন তিনি। গলা বুজে আসে তাঁর। রূপা চক্রবর্তীর কথায়, “২০১৫ সাল থেকে দলের হয়ে কাজ করছি। যতটা সামর্থ্য তার থেকেও বেশি দেওয়ার চেষ্টা করেছি দলকে। অথচ জেলা কমিটির প্রথম তালিকা বের হল, সেখানে আমার নামটা কোথাও খুঁজে পেলাম না। তালিকাটা দেখে মনেই হল, আমি কোথাও অযোগ্য। তাই জেলা আমাকে সেই জায়গা দিল না। আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি। আমি স্বজনপোষণ নিয়ে কিছু বলব না। এটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবে। কিন্তু আমি আমার ক্ষেত্রে মনে করছি আমিই কাজ করতে পারিনি। তবে এটাও ঠিক আমি কিন্তু আমাকে কোনও জায়গায় অযোগ্য বলে মনে করি না। যখন যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে পালন করেছি। এটা হল কী করে জানি না। আমি যে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব সে অবস্থাও আমার নেই।”

অন্যদিকে ওন্দায় বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার অনুগামী হিসাবে পরিচিত হওয়ায় নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার একাধিক জেলা কমিটি সদস্য। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন প্রদীপকুমার চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে প্রতিবাদে সরব হন তিনি। তাঁর অভিযোগ, নতুন যে কমিটি তাতে স্বজনপোষণ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের যে নতুন জেলা কমিটির সভাপতি হয়েছেন তাঁকে কিছুতেই মানছি না। উনি আমাদের পুরনো সক্রিয় কর্মীদের সরিয়ে নিজের মতো করে কমিটি তৈরি করেছেন। যাঁকে আমরা কোনওদিন দেখিইনি তাঁদের কমিটিতে রেখেছেন। আমরা বিধায়ক অমর শাখার লোক বলে বাদ দিয়ে দিলেন।”

কমিটি থেকে আরেক বাদ পড়া নেতা সুজন বসু বলেন, “যিনি বর্তমানে সভাপতি হয়েছেন আমি তো দেখলাম কয়েকদিন দলীয় কার্যালয়ে আসছেন। দিনেরবেলায় বিজেপি, রাতের বেলা তৃণমূল তিনি এখন আমাদের জেলা সভাপতি। আমরা এই জিনিস মানব না। আমরা আজ আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছি এই কারণেই। জেলা সভাপতির পছন্দমতো যে জেলা কমিটি তৈরি হয়েছে তা বাতিল করতে হবে। আমরা না হলে আন্দোলন থেকে সরব না। এর জন্য জেলা ছেড়ে রাজ্য, রাজ্য ছেড়ে যেখানে যেতে হয় আমরা যাব। আমরা বিজেপি করি, করেছি, করব। দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী আমরা।”

যদিও বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্বেশ্বর সিংহ বলেন, এখনও অবধি কোনও ক্ষোভের অভিযোগ তিনি পাননি। বিল্বেশ্বর সিংহের কথায়, “আমার কাছে এখনও কোনও ক্ষোভের বার্তা আসেনি। মণ্ডল স্তর থেকে শুরু করে সমস্ত স্তরের কর্মীদের পদাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে এই কমিটি তৈরি হয়েছে। সহমতের ভিত্তিতেই রাজ্যের কাছে নাম গিয়েছে। রাজ্য অনুমোদন দিয়েছে। ২২ জনের কমিটি এটা। ২৫ জন মণ্ডল সভাপতি আছে, আরও কমিটি আছে দল যোগ্যদের ঠিকই জায়গা দেবে। কেউ ঘনিষ্ঠ বলে কিছুই নেই। সবাই পদ্মের হয়ে কাজ করেন।”

একই দাবি বাঁকুড়ার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলেরও। তিনিও জানান, এরকম কোনও ক্ষোভ বিক্ষোভের তথ্য তাঁর কাছে নেই। সুনীলরুদ্রের কথায়, “আমাদের বাঁকুড়া জেলার তিন বিধায়ক আমার পাশেই বসে আছেন। সেই উপস্থিতিই বুঝিয়ে দিচ্ছে এসব গুজব। ভ্রান্ত ধারণা ছাড়া আর কিছু না।”

আরও পড়ুন: Digha Hotel: ভয়ঙ্কর দৃশ্য দিঘায়! দাউ দাউ করে জ্বলছে হোটেল, প্রাণ বাঁচাতে কার্নিশে ঝাঁপ পর্যটকের