School in Bankura: ‘ই-স্কুলে নয়, পড়াশোনা হোক ইস্কুলে’ এমনই দাবি অনলাইনে ক্লাসের ক্লান্ত পড়ুুয়াদের!

Bankura: অনলাইন ক্লাস করায় পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ফোনের আসক্তি।

School in Bankura: 'ই-স্কুলে নয়, পড়াশোনা হোক ইস্কুলে' এমনই দাবি অনলাইনে ক্লাসের ক্লান্ত পড়ুুয়াদের!
অনলাইনে ক্লাস করে ক্লান্ত পড়ুয়ারা অলংকরণ- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 6:16 PM

বাঁকুড়া: বর্তমানে রাজ্যের অন্যতম প্রধান ইস্যু হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা। একধার থেকে সমস্ত বিরোধী দল ইতিমধ্যেই চাপ দিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে। যদিও কয়েকদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পাড়ায়-পাড়ায় শিক্ষা চালু রাখার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি অনলাইনেও চলছে পঠন-পাঠন। কিন্তু অনলাইনে কতটা পড়াশোনা হচ্ছে পড়ুয়াদের? আদৌ তাঁরা কিছু শিখতে পারছে? বাঁকুড়ার অন্যতম নামী স্কুল থেকে অন্তত সেই উত্তর কিন্তু নেতিবাচক এসেছে। সেই কারণে ফের ক্লাসরুমে পঠন পাঠন ফেরানোর দাবিতে সরব পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষকরা

রাজ্যের প্রথম সারির নামি স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া জেলা স্কুল। দু’দফায় মাঝের কয়েক মাস নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস বাদ দিলে বন্ধই থেকেছে এই স্কুলের ক্লাসরুমের দরজা। সরকারি নিয়ম মেনে এই স্কুলে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা। কিন্তু সে অভিজ্ঞতাও খুব একটা সুখকর নয়। অনলাইন ক্লাসে বিরক্ত পড়ুয়ারাও। ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকা স্কুলের পড়ুয়ারা এবার চায় ক্লাসরুমে ফিরতে। শিক্ষক অভিভাবকদেরও দাবি পড়াশোনার মান ফেরাতে আর ‘ই – স্কুলে’ নয় ‘ইস্কুলে’ ফিরুক পড়ুয়ারা।

অবহেলায় পড়ে রয়েছে স্কুলের ঘণ্টা। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় স্কুলের প্রতিটি ক্লাসরুমে পুরু হয়ে জমেছে ধুলোর স্তর। ক্রমশ আরও পুরু হয়েছে। ক্লাসরুমের কাঠের জানালা দরজায় বাসা বেঁধেছে উইপোকা। না! এছবি কোনও প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলের ছবি নয়। রাজ্যের অন্যতম নামী স্কুল বাঁকুড়া জেলা স্কুলের। সরকারি এই স্কুলে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা। কিন্তু সেখানে শুধু পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার কম তাই নয় শিক্ষকরা বলছেন, অনলাইন ক্লাসে ছাত্র শিক্ষক কথোপকথনের সুযোগ না থাকায় বহু বিষয় না বুঝেই গতানুগতিক ভাবে ক্লাস করে যাচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়, অনলাইন ক্লাসের যথোপযুক্ত ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যায় মাঝেমধ্যেই ছেদ ঘটছে ক্লাসে। পড়ুয়াদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে মোবাইল বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রের প্রতি আসক্তি। যা পড়ুয়াদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি পড়াশোনা থেকে আরও দূরে ঠেলে দিচ্ছে। আর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে লেখাপড়ার মানে। যে স্কুল থেকে প্রতি বছর পড়ুয়ারা রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন পরীক্ষার মেধাতালিকায় স্থান করে নিত তারা এবার কী করবে তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছে না শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা। তাই শহরের নামী এই স্কুলের শিক্ষক, পড়ুয়া অভিভাবকরা একান্ত ভাবেই চাইছেন এবার অন্তত কোভিড বিধি মেনে স্কুলের ক্লাসরুমে ফিরুক পঠন পাঠন।

আরও পড়ুন: Arjun Singh: ‘ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা চলছে ভাটপাড়ায়’