Sukanta Majumder: ‘TMC নেতাদের কলার ধরে টাকা আদায় করুন, দরকারে BJP নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যান’

Sukanta Majumder: পরে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "বেকার ছেলেদের অনেকে জমি বিক্রি করে চাকরির জন্য তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছে। এখন চাকরি চলে গেলে সে কী করবে? তাকে তো টাকাটা আদায় করে দিতে হবে। সে একা না পারলে আমরাও সঙ্গে যাবো।"

Sukanta Majumder: 'TMC নেতাদের কলার ধরে টাকা আদায় করুন, দরকারে BJP নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যান'
সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি রাজ্য সভাপতিImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2024 | 2:56 PM

বাঁকুড়া: হুংকার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। বিজেপি নেতা বললেন,”টাকা দিয়ে পাওয়া চাকরি বেশিদিন বাঁচবে না। এটাই সুযোগ। তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন। একা না পারলে সঙ্গে বিজেপিকে নিয়ে যান।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি ঝান্ডা এবং ডান্ডা নিয়ে গিয়ে সেই টাকা উদ্ধার করে দেবে।” সোমবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার কোতুলপুর নেতাজী মোড়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ-র সমর্থনে একটি পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

পরে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বেকার ছেলেদের অনেকে জমি বিক্রি করে চাকরির জন্য তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছে। এখন চাকরি চলে গেলে সে কী করবে? তাকে তো টাকাটা আদায় করে দিতে হবে। সে একা না পারলে আমরাও সঙ্গে যাবো।”

শুধু চাকরীর টাকা আদায়ই নয়, তাঁর পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার এদিন দুর্নীতি প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে একহাত নেন। তিনি বলেন, “জনগণের টাকা এখন যে যত খাচ্ছে খেতে দিন। পরে বাইরে দড়ি দিয়ে উল্টো করে টাঙিয়ে রাখব। আর জনগণের টাকা বমি করাব।”

পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্ত মজুমদারের পরামর্শ, “বিজেপির পক্ষে হাওয়া, এরপর সুনামি আসবে। তাই আগেভাগে হাওয়া মোরগের মতো ঘুরে যান। এবার ৩০ এর উপর আসন পেলে এক বছরের মধ্যে নবান্নে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বসবে। হামলা হলে ব্যবস্থা নিন। নাহলে বিজেপি ব্যবস্থা নেবে।” এরপর কর্মীদের প্রতি সুকান্ত মজুমদারের নিদান, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আপনারা পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন।”

এই মন্তব্যের পাল্টা বিজেপিকেই কটাক্ষ করেছে তৃCমূল। তৃণমূলের বিষ্ণপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপি নেতৃত্বকেই টাকা নিতে দেখা গেছে। এখন সন্ত্রাস ও হিংসা ছড়ানোর উদ্যেশ্যেই এমন কথা বলে বেড়াচ্ছে বিজেপি।