Post Poll Violence: বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে ভাতের থালায় লাথি, মহিলাদের মারধর! ফের উত্তপ্ত জয়পুর
BJP: "গত বছর তাঁর ছেলেকে খুন করেন তৃণমূলের নেতারা। দু'দিন পর লাশ পাওয়া যায়। বেশ কয়েকজনের নামে কেস করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু জয়পুর থানার ওসি আমাদের বের করে দেন। আমরা দ্বারস্থ হই বিষ্ণুপুর আদালতে। তখন থেকে বিজেপি করতাম। এবং তখন থেকেই শুরু হয় অত্যাচার।''
বাঁকুড়া: একুশের ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)-এর নির্দেশে রাজ্য জুড়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। জেলায় জেলায় গ্রেফতারি-ও হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ফের ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুর (Jaypur)।
অভিযোগ, শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে স্থানীয় কুচিয়াকোল গ্রামের সুকুমার সাঁতরার বাড়িতে চড়াও হয়ে মহিলাদের মারধর, বাড়ির আসবাবপত্র ও বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বুথ সভাপতি মঙ্গল দুলে ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় নেতা সুকুমার সাঁতরার পরিবারের অভিযোগ, গত বছর বিশ্বকর্মা পুজার আগের দিন তাঁর বড় ছেলে বাবু সাঁতরা খুন হন। আর ওই খুনের পিছনে ওই তৃণমূল বুথ সভাপতির মদত ছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় জয়পুর থানার তরফে অভিযোগ না নেওয়ায় বিষ্ণুপুর আদালতে মামলা করা হয়। এবছর সেই বিশ্বকর্মা পুজার আগের দিন তৃণমূল বুথ সভাপতি মঙ্গল দুলে তার দলবল নিয়ে ফের সুকুমার সাঁতরার বাড়িতে চড়াও হয়। মহিলাদের মারধরের করে তাঁদের ভাতের থালা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার সময় সুকুমার সাঁতরা বাড়িতে ছিলেন না। তিনি জয়পুরের একটি বেসরকারী লজে কাজ করেন সেখানে ছিলেন। কিন্তু পরে জয়পুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে উল্টে তার বিরুদ্ধেই কেস দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সুকুমার বাবুর দাবি, “গত বছর তাঁর ছেলেকে খুন করেন তৃণমূলের নেতারা। দু’দিন পর লাশ পাওয়া যায়। বেশ কয়েকজনের নামে কেস করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু জয়পুর থানার ওসি আমাদের বের করে দেন। আমরা দ্বারস্থ হই বিষ্ণুপুর আদালতে। তখন থেকে বিজেপি করতাম। এবং তখন থেকেই শুরু হয় অত্যাচার। বারবার থানায় বলার পরেও কিচ্ছু করেনি। আবার আমাার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। নিজেরা নিজেদের মাথা ফাটিয়ে থানায় উল্টে আমার নামে মামলা করা হচ্ছে।”
এদিকে তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। জয়পুর ব্লক সভাপতি ইয়ামিন শেখ এই ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এটি কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। পারিবারিক ঝামেলা। মনসা পুজো উপলক্ষে মদ্যপ অবস্থায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে কেউ কেউ বলে দাবি করেন তিনি।
তৃণমূল নেতা আরও যোগ করেন, “গত বছরের ঘটনা। এ নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। অযথা কেউ বলে দিল দুম করে মেরে ফেলেছে, এসব ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক কথাবার্তা। কোনও কিছু নেই। অযথা ব্যক্তিগত ঝামেলাকে রাজনীতির রং দেওয়া হচ্ছে। এবার যেটা হয়েছে সেটা পারিবারিক ঝামেলা। কেউ কেউ মনসা পুজোয় নাচানাচি করছিল। সেখান থেকে ঝামেলা। এটা কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়।”
তৃণমূল নেতার আরও দাবি, কোনও অভিযোগও এখনও জমা পড়েনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এসব বলা হচ্ছে তৃণমূলের বদনাম করার জন্য।
আরও পড়ুন: Arpita Ghosh: আচমকা ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেলেন অর্পিতা