Fever among Children: কারও ডেঙ্গি, কারও স্ক্রাব টাইফাস, কারও জাপানি এনসেফেলাইটিস… জ্বরে কাবু বাঁকুড়া

Bankura Medical College And Hospital : বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ সূত্রের খবর, বিগত একমাসে ২৫ জন শিশুর শরীরে মিলেছে স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ। এনআইসিইউ (NICU), পিআইসিইউ (PICU) এবং শিশু ওয়ার্ডের প্রায় সব বেড ভরতি।

Fever among Children: কারও ডেঙ্গি, কারও স্ক্রাব টাইফাস, কারও জাপানি এনসেফেলাইটিস... জ্বরে কাবু বাঁকুড়া
জ্বরের আতঙ্কে কাবু বাঁকুড়াও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 8:57 PM

বাঁকুড়া : অজানা জ্বরে কাঁপছে বাংলা। জ্বর নিয়ে ৭৫ জনেরও বেশি শিশু ভরতি রয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। তাদের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে মিলেছে একাধিক কারণ। স্ক্রাব টাইফাস, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, জাপানি এনসেফেলাইটিস মিলেছে একাধিক শিশুর শরীরে। রয়েছে আরএসভি, ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণও।

বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ সূত্রের খবর, বিগত একমাসে ২৫ জন শিশুর শরীরে মিলেছে স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ। এনআইসিইউ (NICU), পিআইসিইউ (PICU) এবং শিশু ওয়ার্ডের প্রায় সব বেড ভরতি।

এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়েও আতঙ্ক রয়েছে জেলাবাসীদের মধ্যে। তারই মধ্যে শিশুদের জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে শিশু ভরতির সংখ্যাও বেড়েছে। আর সেই কারণেই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে অজানা জ্বরের পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রস্তুত দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম বড় সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ চিকিৎসক পার্থ প্রতিম প্রধান জানিয়েছেন, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে প্রচুর রোগী হাসপাতালে আসছেন। তবে বিষয়টি এখনও অস্বাভাবিক পর্যায়ে যায়নি। একদিকে ‘অজানা জ্বরে’র যেমন কোন তথ্য নেই, তেমনি এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে জ্বরের কারণে কোনও শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি ।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, “ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, জাপানি এনসেফেলাইটিসে আক্রান্তরা হাসপাতালে ভরতির তালিকায় আছেন। করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শিশুদের মধ্যে এখনও কেউ ভর্তি নেই। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৫-২০ জন ভর্তি আছেন।

শিশুদের জন্য পাঁচ শয্যার সিসিইউ সহ ২৫ শয্যার এসজিইউ তৈরি রাখা হয়েছে। আরও ৩০ টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২৪ শয্যার এসজিইউ তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে হাসপাতালেই লিক্যুইড মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে পিআইসিইউয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাধারণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রয়েছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, তেমনি কেবলমাত্র শিশুদের একটি অত্যাধুনিক ইউনিট হল পিকু। যেখানে যাবতীয় উন্নত মানের চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকবে বাচ্চাদের চিকিৎসার জন্য। করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে এই চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য দফতর।

কিন্তু এখন যখন রাজ্যজুড়ে কয়েকশো শিশু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে, তখন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি থাকার কোনও প্রতিফলন কেন দেখা যাচ্ছে না? কেন করোনা নয় এমন জ্বরেও শিশুদের বেডের অভাব হচ্ছে হাসপাতালে? ওয়াকিবহালের একাংশ বলছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের আগে এই জ্বরের প্রকোপেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অব্যবস্থার কথা প্রকট হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন : তৃতীয় ঢেউয়ে প্রস্তুত শুধুই কি মুখের কথা? বেআব্রু হয়ে পড়ল ‘অজানা জ্বরেই’