Bankura : ‘খাবারের নামে জল-ভাত, কিছু বললেই জুটত মার’, বিষ্ণুপুরের নেশামুক্তি কেন্দ্রের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ

Bankura : আবাসিকদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, নেশাগ্রস্তদের ওই কেন্দ্রে রাখার জন্য প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হত। কিন্তু, টাকা নিলেও সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর জন্য সঠিকভাবে কোনও কাজই করা হত না বলে অভিযোগ।

Bankura : ‘খাবারের নামে জল-ভাত, কিছু বললেই জুটত মার’, বিষ্ণুপুরের নেশামুক্তি কেন্দ্রের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 12, 2023 | 7:47 PM

কলকাতা : বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রে (De-addiction center) আবাসিকদের উপর অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ। আর এই অভিযোগেই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালালো আবাসিকদের পরিবারের লোকজন। শেষে আবাসিকদের গেলেন পালিয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরের কবরডাঙা এলাকায় বেশ কিছুদিন আগে বেসরকারি উদ্যোগে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র গড়ে ওঠে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেশামুক্তির আশায় বহু যুবক-যুবতীকে এই কেন্দ্রে ভর্তিও করেন পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে সেখানে থাকা আবাসিকের সংখ্যা ছিল ১৪। অভিযোগ, এখানে নেশামুক্তির নাম করে ভর্তি থাকা ব্যক্তিদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাতে থাকে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা লোকেরা। এমনকী তাঁদের পর্যাপ্ত খাবারও দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। আর সে কারণেই এদিন ওই সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ভর্তি থাকা আবাসিকদের পরিবারের সদস্যরা। চলে ব্যাপক ভাঙচুর। 

আবাসিকদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, নেশাগ্রস্তদের ওই কেন্দ্রে রাখার জন্য প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হত। কিন্তু, টাকা নিলেও সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর জন্য সঠিকভাবে কোনও কাজই করা হত না বলে অভিযোগ।  অভিযোগ, আবাসিকদের প্রায়শই ব্যাপক মারধরের পাশাপাশি তাঁদের দেওয়া হত অত্যন্ত নিম্নমানের যৎসামান্য খাবার। এই অভিযোগগুলিকে সামনে রেখে এদিন আবাসিকদের আত্মীয়রা হাজির হন ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রে। ফেটে পড়েন প্রবল বিক্ষোভে। তুমুল বচসা হয় নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্মী-আধিকারিকদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, এরপরই উত্তেজিত আত্মীয়রা ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভাঙচুর করতে শুরু করেন। খানিক পরে সেখানে ভর্তি থাকা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়েও যান। এখানে ভর্তি থাকা এক আবাসিক বলেন, “খাবারের নামে দেওয়া হত জলভাত। একটু এদিক-ওদিক হলেই ব্যাপক মারধর করা হত। মেরে একেবারে ফাটিয়ে দিত। যেভাবে অত্যাচার চলত তা বলার কথা নয়। ডাক্তারও দেখানও হত না।” 

যদিও আবাসিকদের মারধর ও নিম্ন মানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে নেশামুক্তি কেন্দ্রের আধিকারিকরা। আবাসিকদের পরিবারের তোলা অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি তাঁদের। এদিকে এ ঘটনায় পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে ওই এলাকায় কোনও নেশামুক্তি কেন্দ্র রয়েছে তা তাদের জানানো হয়নি। এমনকী কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি পুরসভার। কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই তা নিয়ে এলাকায় চলছে জোর চর্চা। বা কিছুদিন আগে কার্যত একই অভিযোগ উঠেছিল মহেশতলার একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এবার বিষ্ণুপুরের ঘটনায় নতুন করে বাড়ছে চাপানউতর।