Elephant Attack: শুঁড় দুলিয়ে বিয়েবাড়িতে ঢুকল হাতি, তারপর যা হল…
Bankura: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ৯ টা নাগাদ গ্রাম পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে একটি হাতি আচমকাই খাবারের খোঁজে ঢুকে পড়ে গ্রামে।
বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় দাঁতালের দাপাদাপি। জেলায় রাতভর কখনও বিয়েবাড়িতে আবার কখনও সবজি বাজারে দাপিয়ে বেড়াল হাতি। রীতিমত আতঙ্ক জেলাজুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ একটি দাঁতাল চলে আসে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি বাজারে। তারপর রাতভর কখনও স্থানীয় একটি বিয়েবাড়িতে আবার কখনও স্থানীয় সবজি বাজারে দাপিয়ে বেড়ায় হাতিটি। পরে বন দফতর ও এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে হাতিটি পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে চলে যায়। এই ঘটনায় হাতির আতঙ্ক রাতভর কার্যত তাড়া করে বেড়াল গঙ্গাজলঘাটি এলাকার মানুষকে।
এমনিতেই প্রবল গরমে গত প্রায় একমাস ধরে একপ্রকার ঘুমহীন রাত কেটেছে বাঁকুড়ার মানুষের। কালবৈশাখীর দৌলতে সম্প্রতি গরমের দাবদাহ কমলেও এবার নতুন আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াল বাঁকুড়াবাসীকে। হাতির আতঙ্ক ঘুম ওড়াল এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ৯ টা নাগাদ গ্রাম পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে একটি হাতি আচমকাই খাবারের খোঁজে ঢুকে পড়ে গ্রামে। প্রথমেই একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে প্রবেশের চেষ্টা করলে গ্রামজুড়ে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। পরে এলাকার মানুষের তাড়া খেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে না গিয়ে সবজি বাজারের দিকে চলে যায় হাতিটি। সেখানে পরপর দু’টি দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে দোকানে রাখা সবজি সাবাড় করে। হাতি তাড়াতে এলাকার মানুষ বারবার বন দফতরকে তলব করলেও বন কর্মীরা অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বন কর্মীরা হাতিটিকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে পাঠালে এলাকায় স্বস্তি ফেরে। তবে বিষয়েটি নিয়ে এদিন মুখ খুলতে চায়নি বন দফতর।
এক এলাকাবাসী বলেন, “তখন আমরা বাড়িতে ছিলাম। সাড়ে নটা নাগাদ চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। বাইরে বেরিয়ে শুনতে পেলাম সকলে বলছেন হাতি বেরিয়েছে। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যাও তাড়াতাড়ি। আমার কাঁচা বাড়ি। ভয় করছিল। ঘর যদি একটুও নাড়িয়ে দেয় তাহলে আমরা চাপা পড়ে মারা যাব। ঘর থেকে বেরোতেই দেখি হাতি চলে এসেছে আমার সামনে। আমার মেয়ে বাড়িতে ছিল। ওকে ডেকে নিয়ে এসেছি। তারপর দু’জন ছুটে বেরিয়েছি। হাতিও পিছন পিছন ছুটছিল। পরে কিছুটা যাওয়ার পর প্রাণ বেঁচেছে। শুনেছি একটি বিয়েবাড়িতেও হাতিটি ঢুকে পড়েছিল।”