Municipal Election 2022: কেউ কেঁদে ভাসালেন, কারোর গলায় আবার প্রত্যয়ী সুর, দিনভর নানা নাটকের সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া

Bankura Candidate List: প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় বাঁকুড়ায়ও বিগত কয়েকদিন ধরে ছড়িয়েছে লাগাতার উত্তেজনা। শাসকদলের দলের টিকিট না পেয়ে কেউ কেঁদেছেন, কারোর গলায় আবার প্রত্যয়ী সুর।

Municipal Election 2022: কেউ কেঁদে ভাসালেন, কারোর গলায় আবার প্রত্যয়ী সুর, দিনভর নানা নাটকের সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া
বাঁ দিকে দিলীপ আগারওয়াল ও ডানদিকে লতিকা রানি হালদার (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2022 | 3:56 PM

বাঁকুড়া: দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করেছেন ওঁরা। কেউ আবার দল পরিবর্তন করে যোগ দিয়েছিলেন। তবে এখন সময়টা ভালো যাচ্ছে না। যেদিন থেকে প্রার্থী তালিকা বেরিয়েছে শাসকের ঘরের আগুন নেমে এসেছে উন্মুক্ত রাস্তায়। অধিকাংশ জেলাই দেখছে বিক্ষোভ, স্লোগান। বাদ পড়েনি মল্লভূমিও। প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় বাঁকুড়ায়ও বিগত কয়েকদিন ধরে ছড়িয়েছে লাগাতার উত্তেজনা। শাসকদলের দলের টিকিট না পেয়ে কেউ কেঁদেছেন, কারোর গলায় আবার প্রত্যয়ী সুর।

কেউ ভাবেননি পুরসভা নির্বাচনে নির্দলে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। কেউ-কেউ তো আবার চিন্তাই করেননি কোনও দিন খোদ দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই তাঁকে লড়তে হবে। কিন্তু দলের প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নির্দল হিসাবেই মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূলের প্রার্থীর দাবিদাররা। আর তা দিতে গিয়েই এদিন বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসকের দফতরে কেউ হাউমাউ করে কেঁদে ভাসালেন তো কারো গলায় শোনা গেল জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী সুর।

লতিকা রানি হালদার

বছর দশেক আগে বাঁকুড়া পুরসভায় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের টিকিটে জিতে পাঁচ বছর কাউন্সিলর ছিলেন লতিকা রানি হালদার। মাঝের পাঁচ বছর রোজ তৃণমূলের কর্মসূচীতে হাজির হতেন। দল যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে তাই করেছেন। ভেবেছিলেন এবার হয়তো মিলবে দলীয় টিকিট। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট না দিয়ে অপছন্দের প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে দল। এরই প্রতিবাদে লতিকা রানি হালদার বুধবার বাঁকুড়া সদর মহকুমা শাসকের দফতরে হাজির হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন। মনোনয়নের পর মনোনয়ন কেন্দ্রের বাইরেই কেঁদে ভাসালেন ওই নির্দল প্রার্থী।

লতিকা দেবী বলেন, “আজকে যিনি টিকিট পেয়েছেন তিনি কোনও দিনই আমাদের সঙ্গে ছিলেন না। দু’বার নির্দলে দাঁড়িয়ে জেতেননি। তার বিরুদ্ধে আমাদের এলাকাবাসী খুবই রেগে গিয়েছে। গোটা এলাকাবাসীর অনুরোধে আমি আজকে মনোনয়ন জমা দিলাম।”

দিলীপ আগারওয়াল

অন্যদিকে, বাঁকুড়া পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের উপ পুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়ালকে এবার প্রার্থী করেনি তৃণমূল। প্রতিবাদে তিনিও বাঁকুড়ার সাত নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন। মনোনয়নের পর তাঁর গলায় শোনা গেল প্রত্যয়ী সুর। দিলীপ বাবু বলেন, “বাঁকুড়া পৌর এলাকার মানুষ চাইছেন আমায় নির্দলে দেখতে তাই আমি নির্দলে দাঁড়াচ্ছি।”

যদিও, তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি দলের তরফে সকলকে টিকিট দেওয়া সম্ভব না। পুর নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরদের টিকিট না দেওয়ার বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা