Jamai Sasthi: মল্ল রাজ দরবারের কাছে এলাহি আয়োজন, রাজকীয় কায়দায় হল জামাই বরণ
Jamai Sasthi: শহরে প্রবেশের মুখেই তাঁদের জন্য আয়োজন দেখে বেশ কিছুটা হকচকিয়েই যান জামাই অমিতাভ চক্রবর্তী। সেখানে ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে হাজির স্বয়ং শ্যালক দেবমাল্য রাহা। নাছোড় শ্যালকের আবদারে গাড়ি ছেড়ে সেই ঘোড়ার গাড়িতে উঠতে হল দম্পতিকে।
বাঁকুড়া: জামাই ষষ্ঠী বলে কথা। বছরের যে কোনও সময়েই জামাইয়ের আদরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন কোনও ত্রুটি রাখতে চান না। তবে এই দিনটি তো আরও ‘স্পেশাল’। তাই এমন দিনে যদি রাজকীয় বরণ জোটে, তবে কোন জামাই আর খুশি না হয়ে থাকতে পারে? তেমনই ঘটল প্রাচীন মল্ল রাজের শহর বিষ্ণুপুরে। তাও আবার খোদ রাজদরবারের মূল ফটক গড় দরজা লাগোয়া এলাকায়। এমন রাজ আপ্যায়ণ পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশিতে ডগমগ জামাই।
প্রাচীন মল্ল রাজার শহর বিষ্ণুপুর। এই শহরের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে মল্ল রাজাদের কাহিনী। একসময় এখানে ছিল রাজাদের প্রাসাদ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রাসাদ আজ মাটিতে মিশে গিয়েছে। কিন্তু মুখে মুখে রয়ে গিয়েছে রাজ দরবারের নাম। আর প্রাচীন বৈভবের স্মৃতি হয়ে রয়ে গিয়েছে রাজদরবারে প্রবেশের মূল ফটক গড় দরজা। সেই সুবিশাল রাজ দরবার এবং গড় দরজা এলাকায় এখন বসবাস বহু মানুষের। এই গড় দরজা এলাকাতেই বসবাস করেন কৃষ্ণা রাহার। জামাই ষষ্ঠীতে এদিন দম্পতি আদর করে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাঁকুড়া নিবাসী ভাগ্নী অমৃতা চক্রবর্তী ও তাঁর বর অমিতাভ চক্রবর্তীকে।
মামা শ্বশুরের বাড়ির সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পেশায় সরকারি কর্মী ওই দম্পতি গাড়ি চালিয়ে বিষ্ণুপুর যান। কিন্তু শহরে প্রবেশের মুখেই তাঁদের জন্য আয়োজন দেখে বেশ কিছুটা হকচকিয়েই যান জামাই অমিতাভ চক্রবর্তী। সেখানে ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে হাজির স্বয়ং শ্যালক দেবমাল্য রাহা। নাছোড় শ্যালকের আবদারে গাড়ি ছেড়ে সেই ঘোড়ার গাড়িতে উঠতে হল দম্পতিকে। সেই ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে সটান শ্বশুর বাড়িতে হাজির হলেন দম্পতি। জামাই বরণেও ছিল রাজকীয় ছাপ। রীতিমত রুপোর থালা, বাটি, গ্লাসে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী মতিচুর সহ নানারকম মিষ্টির সম্ভার দিয়ে বরণ করা হল জামাইকে। জামাইয়ের দুপুরের খাবারেও আয়োজনের কোনও খামতি ছিল না। জামাই ষষ্ঠীর দিনে শ্বশুরবাড়ির এমন উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত জামাই। খুশি মেয়েও।