Flood in Bankura: সেতুর ওপর দিয়ে হু হু করে বইছে জল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আনতেও কালঘাম ছুটছে গ্রামবাসীর
Flood in Bankura: শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষায় বুধবার এই কজওয়ের ওপর গাইঘাটা জোড়ের জল বাড়তে শুরু করে। বিপদ সীমা দিয়ে জল বইতে শুরু করলে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। রাজ্য সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
বাঁকুড়া: সাধারণ মানুষের কী অসুবিধা, তার খোঁজ বছরভর কেউ রাখুক বা না রাখুক, বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেই সামনে চলে আসে সব সমস্যা। ঠিক যেমন বাঁকুড়ার মেজিয়া। ডুবে গিয়েছে কজওয়ে বা নীচু সেতু। এটাই গ্রাম থেকে বেরনোর একমাত্র রাস্তা। তার ওপর দিয়ে হু হু করে বয়ে যাচ্ছে জল। গত দু দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে। পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটাতেও গ্রামবাসীদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। আপাতত প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের ওপর দিয়েই যেতে হচ্ছে তাঁদের।
টানা বৃষ্টিতে বাঁকুড়ার ছাতনা-মেজিয়া রাজ্য সড়কের ওপর গাইঘাটা জোড়ের কাছে থাকা মাতাবেল কজওয়ে পুরোপুরি ডুবে গিয়েছে। কজওয়ের উপর দিয়ে প্রবল বেগে বইছে জল। পা ফস্কে গেলেই ঘটে যেতে পারে বিপদ। এই পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল সেতু দিয়ে নদী পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।
এটা শুধু এ বছরের ছবি নয়। প্রতিবার ফিরে আসে একই ছবি। একটানা কয়েকদিন বৃষ্টি হলেই দামোদরের শাখা নদী গাইঘাটা জোড়ের জলে ভেসে যায় মেজিয়া-ছাতনা রাজ্য সড়কের এই অংশ। এবারও তার অন্যথা হল না। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষায় বুধবার এই কজওয়ের ওপর গাইঘাটা জোড়ের জল বাড়তে শুরু করে। বিপদ সীমা দিয়ে জল বইতে শুরু করলে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। রাজ্য সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
অগত্যা দুপারের অসংখ্য পার্শ্ববর্তী রেল সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয়দের দাবি, সেতুটি উঁচু করার কথা বারবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। একাধিকবার প্রশাসনের তরফে নতুন সেতু নির্মাণের প্রাথমিক সমীক্ষার কাজও হয়েছে। কিন্তু সেখানেই ইতি। আদতে কোনও কাজ হয়নি। বিকল্প কোনও ব্যবস্থাও হয়নি। ফলে বর্ষাকালে দুপারের হাজার হাজার মানুষকে নিত্যদিনের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।