বাঁকুড়ায় ‘বজ্র’ বিপদ! মৃত ১, আহত ৬

সন্ধ্যা মাহাতের মৃত্যুর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য সূর্যকান্ত সিংহ মহাপাত্র। মৃতার পরিবারকে দলীয় ও প্রশাসনিকভাবে সাহায্য করার আশ্বাসও দেন তিনি।

বাঁকুড়ায় 'বজ্র' বিপদ! মৃত ১, আহত ৬
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 19, 2021 | 8:30 PM

বাঁকুড়া: আকস্মিক বজ্রপাতে ফের মৃত্য়ু হল এক মহিলার। শনিবার, সারেঙ্গা ব্লকের গোয়ালবাড়ি গ্রামে আমলা তলায় ঘটনাটি ঘটে। এদিন বজ্রাঘাতে (Thunderstorm) আহত হয়েছেন আরও ছয় জন। মৃত মহিলার নাম সন্ধ্যা মাহাত। জানা গিয়েছে মৃতা গোয়ালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

মৃতার পরিবার জানিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো আজ সকালে গ্রাম সংলগ্ন আমডিহা মাঠে গরু চরাতে যান সন্ধ্যা। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হলে গরু-বাছুরগুলি ফিরে এলেও সন্ধ্যা ফিরে আসেননি। বিকেলের দিকে বৃষ্টির বেগ একটু কমলে বাড়ির লোক তাঁকে খুঁজতে বের হয়। সেই সময়ের মাঠের মাঝখানে সন্ধ্যার অচৈতন্য দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন পরিজনরা। সন্ধ্যার গায়ে বজ্রপাতে আহত হওয়ার চিহ্নও মেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার শরীরে কয়েকটি জায়গা পুরো কালো হয়ে গিয়েছিল। তাই দেখেই তাঁদের সন্দেহ হয়। দ্রুত সন্ধ্যাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সারেঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, ওই মাঠেই কাজ করছিলেন আরও ছয় জন ব্যক্তি। তাঁরাও বজ্রাঘাতে (Thunderstorm) আহত হন। তাঁদেকেও চিকিৎসার জন্য সারেঙ্গার স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যা মাহাতের মৃত্যুর খবর পেয়ে তড়িঘড়ি মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য সূর্যকান্ত সিংহ মহাপাত্র। মৃতার পরিবারকে দলীয় ও প্রশাসনিকভাবে সাহায্য করার আশ্বাসও দেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি মাসে বঙ্গে বজ্রাঘাতে মৃতের সংখ্যা ছিল ২৯। সেই তালিকা এ বার ত্রিশের কোঠা ছুুঁল।  সম্প্রতি, গাঙ্গেয় উপত্যকায় নিম্নচাপের জেরে আষাঢ়ের শুরুতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল আলিপুর হাওয়া অফিস। শনিবাভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে, দুই দিনাজপুর, মালদা এবং দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও দুই ২৪ পরগনায় এমন সম্ভাবনাও আগেই জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর। বজ্রাঘাতে মৃত্যু  হলে বিশেষভাবে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। ক্রমবর্ধমান এই মৃত্যুমিছিলকে খাটো করে দেখতে নারাজ রাজ্য সরকার। ফলে ফলে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে সতর্কীকরণ।

আরও পড়ুন: আষাঢ়স্য বঙ্গে বানভাসি জেলা! অবিরাম বর্ষণে কোথাও ঘরে ঢুকল জল, কোথাও বা দ্বারপ্রান্তে মৃত্যু