Fraud Case: ‘টাকা দিলেই মিলবে…’, চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা

West Bengal: ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে ইমারজেন্সি বিভাগের গ্রুপ ডি পদে কর্মরত রাজেশ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি

Fraud Case: 'টাকা দিলেই মিলবে...', চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা
অভিযুক্ত ব্যক্তি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2022 | 2:44 PM

বাঁকুড়া: সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের গ্রুপ ডি, নিরাপত্তাক্ষী থেকে সাধারণ কর্মী, তাঁর হাতে নাকি এভাবেই থরে থরে সাজানো রয়েছে চাকরি! বেকার যুবক দেখলেই সেই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিত ওই হাসপাতালেরই এক কর্মী। এভাবেই একাধিক চাকরিপ্রার্থীদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। টাকা নেওয়ার গোটা ঘটনটি ধরা পড়েছে প্রতারিতদের তরফে করা একটি ভিডিওগ্রাফিতেও। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রতারিতরা। যদিও তাতে কোনও সমস্যা মেটেনি বলে অভিযোগ।

ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে ইমারজেন্সি বিভাগের গ্রুপ ডি পদে কর্মরত রাজেশ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরে সে চাকরির নামে প্রতারণার ব্যবসা চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। তবে চক্রের শিকড় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সংলগ্ন হাসপাতালগুলিতেও। কারণ ইতিমধ্যেই সোনামুখী হাসপাতালের এক গ্রুপ ডি কর্মী অশোক মুখীর নামও সামনে এসেছে।

অভিযোগকারীদের দাবি, বেকারদের কাছে হাসপাতালের বিভিন্ন পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন অভিযুক্ত। এরপর চাকরির ধরণ অনুযায়ী চাওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই টাকা দেওয়ার পরেও চাকরি পাননি কেউই। কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে লক্ষ-লক্ষ-লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যেই এক যুবক টাকা দেওয়ার বিষয়টি গোপনে ভিডিও করে রাখেন। পাশাপাশি তিনি লিখিয়েও নেন স্ট্যাম্প পেপারে। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও চাকরি না মেলায় অভিযুক্তদের কাছে টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সেই আবেদনে অভিযুক্তরা কান দেননি বলে অভিযোগ। দারস্ত হয় বিষ্ণুপুর থানার।

এই বিষয়ে এক প্রতারিত ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, আমরা বাইরে থাকতাম। চাকরি খুঁজছিলাম। একজন ভদ্রলোক জানান হাসপাতালের ডি গ্রুপের জন্য লোক দরকার। টাকা দিলে মিলতে পারে চাকরি। আমি প্রথমে রাজি হইনি। পরে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকাই দিই। কিন্তু কোনও চাকরি হয়নি।

এক্ষেত্রে অভিযোগকারীদের আরও দাবি, পুলিশের মধ্যস্থতায় অভিযুক্ত রাজেশ ও অশোক টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু তারপরও সুরাহা হয়নি জটিলতার। বিষয়টি নিয়ে রাজেশ গুপ্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। প্রতিক্রিয়া মেলেনি অন্যতম অভিযুক্ত অশোক মুখীরও।