Bankura Summer: ফুটিফাটা নদীনালা, তীব্র জলসঙ্কট! চল্লিশ ছুঁয়েই বাঁকুড়া যেন সাহারা
Bankura: মার্চের শেষে বাঁকুড়ায় কালবৈশাখীর সুবাদে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে ছিল তাপমাত্রা। তবে এপ্রিলের গোড়া থেকেই তাপমাত্রার পারদ চড়তে থাকে জেলায়।
বাঁকুড়া: চৈত্রের শেষবেলা। হাঁসফাঁস অবস্থা বাঙালির। চোখে রোদ চশমা আর ছাতা ছাড়া বেরনো দায়। কলকাতা-সহ জেলাগুলির অবস্থা এক। চিকিৎসকরা বলছেন, বাড়ছে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। পরিস্থিতি যে খারাপের দিকে যাবে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ চলার সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছিল। সেই পূর্বাভাসকে কার্যত সত্যি করে বাঁকুড়া জেলার তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়ে ফেলল চল্লিশের কোটা। প্রবল গরমে নাজেহাল জেলার সাধারণ মানুষ। সঙ্গে দোসর হয়েছে জলের সঙ্কট। ক্রমশ জেলায় তীব্র হচ্ছে সঙ্কট।
মার্চের শেষে বাঁকুড়ায় কালবৈশাখীর সুবাদে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে ছিল তাপমাত্রা। তবে এপ্রিলের গোড়া থেকেই তাপমাত্রার পারদ চড়তে থাকে জেলায়। প্রতিদিন একটু-একটু করে বাড়তে বাড়তে গতকাল তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়ে ফেলে প্রায় চল্লিশ ডিগ্রি। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়বে বলেই আশঙ্কা। একদিকে চড়া রোদ আর অন্যদিকে প্রবল গরমের সাঁড়াশি আক্রমণে নাজেহাল জেলার মানুষ। বেলা বাড়লেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। সকলেই সকাল সকাল বাড়ির বাইরের কাজ সেরে আশ্রয় নিচ্ছেন ছায়ায়।
প্রবল এই দাবদাহে দ্রুত হারে নামছে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর। জলস্তরের নাগাল না পেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে বহু কুয়ো, বিকল হয়ে পড়ছে বহূ নলকূপ। নদী নালা পুকুর শুকিয়ে কাঠ। এই পরিস্থিতিতে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ ধাক্কা খাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলার বহু জায়গায় জল সরবরাহ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় শুরু হয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে জেলা জুড়ে কোথাও জল সমস্যা যাতে তৈরি না হয় তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
দিপীকা প্রামাণিক দাস বলেন,”বাঁকুড়ায় গরম প্রচন্ড। আজ থেকে যেন আরও গরম বেড়েছে। সকাল ৭টা থেকে রোদের তাপ। খুব দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজ শেষ করে ফেরার চেষ্টা করছি। নুন জল খাচ্ছি।” বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, “সতর্কতা রয়েছে। ব্লক-পঞ্চায়েতের সকলকে বলা রয়েছে। যেখানে পানীয় জলের সমস্যা হতে পারে সেই জায়গায় চিহ্নিত করে কাজ শুরু হবে।”