Saumitra Khan: ‘কলকাতার বাবু’দের হাতে কেন থাকবে? তিন জেলা নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি সৌমিত্র খাঁ-র

Saumitra Khan: আলাদা রাজ্য তৈরি হলে মানুষকে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন সৌমিত্র খাঁ।

Saumitra Khan: 'কলকাতার বাবু'দের হাতে কেন থাকবে? তিন জেলা নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি সৌমিত্র খাঁ-র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 3:52 PM

কলকাতা : সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। বঙ্গ বিজেপির নেতারা প্রকাশ্যে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ না করলেও, অর্জুনের দলবদল যে পদ্ম শিবিরে একটা বড় ধাক্কা, তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেই দলবদলের ঠিক পরের দিন সোমবার পৃথক জেলার দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। প্রথমে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন আর এক সাংসদ জন বার্লা। পরে একই দাবি করতে শোনা গিয়েছিল বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্রকে। সেই সময় পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি তুলেছিলেন তিনি। আর এবার তাঁর দাবি জঙ্গলমহল হোক আলাদা রাজ্য। তিন জেলা নিয়ে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ দিন সৌমিত্র দাবি করেন, রাজ্যে ২৩ টি জেলা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যদি ৪৬ টি জেলা করতে চান, তাহলে তিনিও আলাদা জঙ্গলমহল রাজ্য চাইতেই পারেন। কলকাতা যে ভাবে জঙ্গলমহলকে সবদিক থেকে বঞ্চিত করে চলেছে তিনি জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবির পক্ষে সহমত বলে উল্লেখ করেছেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাব।’ কলকাতায় নেতা কেনা-বেচা চলছে বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

সৌমিত্র খাঁ এদিন বলেন, ‘আমাদের এলাকার বালি, পাথর নিয়ে কলকাতায় বাবুদের বাড়ি তৈরি হচ্ছে। আর বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও আসানসোল জেলার স্থানীয় মানুষেরা দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছেন।’ বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মানুষ চাকরি পাচ্ছেন না বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, এই অবস্থায় এই সব জেলাগুলিকে ‘কলকাতার বাবু’দের কাছে রাখার কোনও মানে হয় না। সাংসদ মনে করেন, আলাদা জঙ্গলমহল রাজ্য গঠিত হলে ওই এলাকার মানুষকে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

এর আগে সৌমিত্র খাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল,  মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বহিরাগত শব্দটা এনেছেন, তাতে পৃথক রাজ্যের দাবি উঠবেই। রাঢ়বঙ্গের যুবকদের চাকরি নেই বলেও সরব হয়েছিলেন তিনি।

সৌমিত্রের দাবি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, অর্জুনের দলবদলের পর গুরুত্ব পাওয়ার জন্য, ভেসে থাকার জন্য এই সব কথা বলছেন সৌমিত্র। তাঁর মতে, এই ধরনের মন্তব্যের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই, কোনও বুদ্ধির ছাপ নেই, এমনকি অভিযোগের বাস্তাবিকতাও নেই। তিনি উল্লেখ করেন, জঙ্গলমহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করলে অনেক মানুষকে উৎসাহী হয়ে আসতে দেখা যায়। তাই জঙ্গলমহলের মানুষ বঞ্চিত, এ কথা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা।