BJP-TMC Clash: কী কাণ্ড! বিজেপির মণ্ডল কমিটিতে সম্পাদক হিসেবে নাম তৃণমূল কর্মীর, তুঙ্গে তরজা

Bankura: গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির বাঁকুড়ার ছাতনা এক নম্বর মণ্ডলের সহ সভানেত্রী পদে ছিলেন শৈব্যা মণ্ডল।

BJP-TMC Clash: কী কাণ্ড! বিজেপির মণ্ডল কমিটিতে সম্পাদক হিসেবে নাম তৃণমূল কর্মীর, তুঙ্গে তরজা
শৈব্যা মণ্ডল (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 12:25 PM

বাঁকুড়া: বিজেপির ঝান্ডা ছেড়ে আগেই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। তবে ভাবতেই পারেননি হয়ত দল ছাড়ার পরও সদ্য প্রকাশিত বিজেপির মণ্ডল কমিটির একেবারে সম্পাদকের স্থানে নাম উঠে আসবে তাঁর। সম্প্রতি, বিজেপির ছাতনা ১ নম্বর মণ্ডল কমিটির নামের তালিকা প্রকাশ হতেই চক্ষু ছানাবড়া ওই তৃণমূল কর্মীর। ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মী। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে ঘাসফুল-পদ্মশিবিরের রাজনৈতিক চাপানউতোর।

গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির বাঁকুড়ার ছাতনা এক নম্বর মণ্ডলের সহ সভানেত্রী পদে ছিলেন শৈব্যা মণ্ডল। বিধানসভা নির্বাচনে ছাতনা বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মনপ্রাণ দিয়ে রাজনৈতিক কাজও করেছিলেন তিনি। কিন্তু শৈব্যা মণ্ডলের দাবি ছাতনা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর জয়লাভের পর সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে বিধায়ক থেকে সাংসদ এমনকী কোনও বিজেপি নেতাকেই পাশে না পেয়ে ‘মনের দুঃখে’ কিছুদিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।

এরপর সম্প্রতি বিজেপির ছাতনা এক নম্বর মণ্ডল কমিটি প্রকাশিত হতেই দেখা যায় তাঁকে ওই মণ্ডলের সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে। তালিকা প্রকাশ হতেই মণ্ডল কমিটির তালিকাটি মূহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। শৈব্যা মণ্ডলের দাবি, তিনি দলবদলের কথা আগেই বিজেপি নেতাদের জানিয়েছিলেন। এখন তাঁর সঙ্গে কথা না বলেই বিজেপি নেতারা তাঁর নাম মণ্ডলের সম্পাদক পদে রেখেছেন । বিজেপির ওই মণ্ডলের নেতৃত্বের দাবি শৈব্যা মণ্ডল দল বদল করেছেন তা তিনি দলকে জানাননি। তাছাড়া তাঁর অনুমতি নিয়েই তাঁকে মণ্ডল কমিটিতে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

অন্যদিকে, তৃণমূলের কটাক্ষ বিজেপি নিজেদের কমিটি গঠনে এখন লোক খুঁজে পাচ্ছে না। বিজেপি ভালোভাবে জানালে প্রয়োজনে এ ব্যাপারে তাঁদের সাহায্য করা হবে। এই বিষয়ে শৈব্যা মণ্ডল বলেন, ‘এই নামটা কে দিয়েছে জানি না। আমি তো বিজেপিতে নেই। তাহলে আমি ওদের মণ্ডল সভাপতির পদে কেন থাকব? তৃণমূল আমার ভালো লেগেছে, তাই গরিবদের একটু সাহায্য করতে পারছি। কিন্তু বিজেপিতে কিছুই নেই।’ অন্যদিকে, বিষয়টি বিজেপি নেতা বলেন, ‘বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আমরা জানি উনি বিজেপিতে রয়েছেন। এখন শুনলাম বলছেন তৃণমূলে। অথচ লিখিত ভাবে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।’