Bankura Drowned: সহকর্মীদের সঙ্গে জলাধারে গিয়েছিলেন, সেনা জওয়ানের অবস্থা দেখে পুলিশের মনেই হাজারও প্রশ্ন
Bankura Drowned: ওই সেনা জওয়ান মদ্যপ অবস্থাতে জলে নেমেছিলেন কি না, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত তারা সেনা জওয়ানদের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে।
বাঁকুড়া: সহকর্মীদের সঙ্গে দামোদরে স্নান করতে নেমেছিলেন। কিন্তু আচমকাই তলিয়ে যান জলে। এক সেনা কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার রণডিহা জলাধারে। কীভাবে জলে তলিয়ে গেলেন ওই সেনাকর্মী, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। মৃত সেনা কর্মীর নাম নারেলা রবীন্দর। বাড়ি মহারাষ্ট্রে। পানাগড় সেনা হাসপাতালে তিনি কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকালে কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে দামোদর নদের রনডিহা জলাধারে স্নান করতে যান নারেলা।
সহকর্মীদের বয়ান অনুযায়ী, স্নান করার সময় আচমকাই তিনি অনেকটা দূরে চলে যান। প্রাথমিক ভাবে সহকর্মীরা মনে করেছিলেন তিনি ডুব সাঁতার কাটছেন। কিন্তু পরে জলে হাবুডুবু খেতে দেখে, তাঁদের সন্দেহ হয়। মৃত ব্যক্তির সহকর্মীদের বক্তব্য, যতক্ষণে তাঁরা ওই সেনা জওয়ানের কাছে পৌঁছতে পারেন, ততক্ষণে জলের অনেকটা তলায় তলিয়ে যান তিনি।
এরপর পাড়ে এসে বাকি সেনাকর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশকে খবর দেন। শুরু হয় খোঁজ। সোনামুখী থানার পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে রনডিহা জলাধার থেকে নারেলার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই সেনা কর্মীর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ মনে করছে, নিশ্চয়ই ওই সেনা জওয়ান সাঁতার জানতেন। সেই সময় জলে স্রোতও খুব একটা বেশি ছিল না। ঝড়বৃষ্টিও ছিল না। তাহলে কীভাবে জলে তলিয়ে গেলেন তিনি, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। সহকর্মীদের বক্তব্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই সেনা জওয়ান মদ্যপ অবস্থাতে জলে নেমেছিলেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত তারা সেনা জওয়ানদের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে। সেনা জওয়ানের সহকর্মীদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।