Murder in Bankura: দরজার ছিটকানি দেওয়া নিয়ে বচসা, ঘর থেকে বেরল মায়ের নিথর দেহ, গুণধর ছেলের কীর্তিতে প্রতিবেশীরা
Murder in Bankura: ছেলে ঘরে ছিটকিনি দিতে চাইলেও মা চাইছিলেন ঘরে ছিটকিনি যেন না দেওয়া হয়। এই ঘটনায় দু’জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ বচসার মাঝেই ছেলে স্বরুপ মেদ্যা ঘরের দরজায় ছিটকিনি দিয়ে মা মমতা মেদ্যার মাথা দেওয়ালে ঠুকতে শুরু করেন।
বাঁকুড়া: ঘরের ছিটকিনি দেওয়া নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝামেলা। আর তারপরেই ঘটে গেল একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। ঘরের দরজা বন্ধ করে মায়ের মাথা দেওয়ালে বারংবার ঠুকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার জয়পুর থানার ফুটকরা গ্রামের এই ঘটনা। খবর চাউর হতেই মারাত্মক শোরগোল এলাকায়। ছেলের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি করেছেন এলাকার লোকজন। বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করতেই ছেলে স্বরূপ মেদ্যাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে এদিনই তোলা হচ্ছে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জয়পুর ব্লকের ফুটকরা গ্রামে বাবা-মা, দাদার সঙ্গে থাকেন স্বরূপ। পরিবারের লোকজন বলছেন, গত দু’দিন ধরে আচমকা অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে দেন স্বরূপ। ছেলের ভাবগতিক ঠিক নেই দেখে চিন্তা বাড়ে মায়ের। সেই চিন্তা থেকেই সোমবার রাতে মা মমতা মেদ্যা ছেলের ঘরে শুতে যান। কিন্তু, কে জানত সামনেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে বড় বিপদ।
ছেলে ঘরে ছিটকিনি দিতে চাইলেও মা চাইছিলেন ঘরে ছিটকিনি যেন না দেওয়া হয়। এই ঘটনায় দু’জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ বচসার মাঝেই ছেলে স্বরুপ মেদ্যা ঘরের দরজায় ছিটকিনি দিয়ে মা মমতা মেদ্যার মাথা দেওয়ালে ঠুকতে শুরু করেন। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ততক্ষণে ছুটে এসেছেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। কিন্তু, ঘরে ততক্ষণে ছিটকানি দেওয়া। অনেকবার ডাকা হলেও ঘরের দরজা খোলেনি ছেলে। শেষে ১০ মিনিট পর খোলে দরজা। দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠে যায় পরিবারের সদস্যদের। দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন মমতা দেবী। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।