Bishnupur Municipality: টোল ট্যাক্স ছিলই, এবার বিষ্ণুপুরে ঘুরতে গেলে পৌরসভাও নেবে টাকা
Bishnupur Municipality: সম্প্রতি, বিষ্ণুপুর পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয় এই শহরে প্রবেশ করতে গেলে এবার যে কোনও চার চাকা বা তার বেশি চাকার যানবাহনকে নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হবে।
বিষ্ণুপুর: মল্ল রাজের শহর বিষ্ণুপুরে ঢুকতে গেলে খসাতে হবে গ্যাঁটের টাকা। আগামী ১ অগাস্ট থেকে চার চাকা বা তার বেশি যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রবেশ কর লাগু করতে চলেছে বিষ্ণুপুর পুরসভা। নয়া এই ফরমানে পর্যটন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ প্রতিবাদে পথে নেমেছে একাধিক সংগঠন। পুরসভার এই সিদ্ধান্তে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।
প্রাচীন মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুরের অর্থনীতির মেরুদন্ড পর্যটন শিল্প। প্রতিবছর দেশ বিদেশ থেকে কাতারে কাতারে পর্যটক এই শহরে ছুটে আসেন। তাছাড়া বিষ্ণুপুর মহকুমা শহর হওয়ায় দৈনন্দিন কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন এই শহরে। মহকুমার অন্যতম বড় বাজার হওয়ায় বিষ্ণুপুর ব্লক ছাড়াও জয়পুর, কোতুলপুর, ইন্দাস,পাত্রসায়র,ওন্দা ও তালডাংরা সোনামুখী ব্লকের মানুষ জামাকাপড় থেকে অন্যান্য সামগ্রী কেনাবেচার জন্য এই শহরে যাতায়াত করেন।
বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার জেলা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বিষ্ণুপুর শহরে থাকায় স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও বাঁকুড়া জেলার একটা বড় অংশের মানুষ নির্ভরশীল এই শহরের উপর। সেই শহরেই এতদিন যানবাহনের যাতায়াত ছিল অবাধ।
সম্প্রতি, বিষ্ণুপুর পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয় এই শহরে প্রবেশ করতে গেলে এবার যে কোনও চার চাকা বা তার বেশি চাকার যানবাহনকে নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হবে। ছোট চার চাকা গাড়ির ক্ষেত্রে ৩০ টাকা, ট্রাক্টর ও মাঝারি গাড়ির ক্ষেত্রে ৫০ টাকা ও বড় বাস বা ট্রাকের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা হারে এই কর আদায় করা হবে। করের আওতার বাইরে থাকছে বিষ্ণুপুর শহরের মানুষ,অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবাহী যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, দমকল,পুলিশ ও জরুরী চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন।
বিষ্ণুপুর পুরসভা রীতিমত টেন্ডার করে এই কর আদায়ের দায়িত্ব দিয়েছে একটি বেসরকারী সংস্থাকে। সেই সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন প্রবেশপথে বসানো হয়েছে টোল গেট। বিষয়টি জানাজানি হতেই রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছে বিষ্ণুপুর শহরের বিভিন্ন সংগঠন। তাঁদের দাবি পুরসভার এই তুঘলকি সিদ্ধান্তে পর্যটন সহ জেলার সমস্ত ধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে।
বিরোধী দল বিজেপির তরফ থেকেও পুরসভার এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। যদিও এতসবের পরেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় বিষ্ণুপুর পুর কর্তৃপক্ষ। বিষ্ণুপুর পৌর প্রধান গৌতম গোস্বামী বলেন, “বোর্ড অব কাউন্সিলের মিটিংয়ের মারফত হয়েছে। বৈধ টেন্ডার পাস করিয়ে হয়েছে।”