Jay Prakash Majumdar: ‘দরকার পড়লে হারিয়ে দেব’, বাঁকুড়ায় জয়প্রকাশকে হুঁশিয়ারি তৃণমূলকর্মীদের

Didir Doot: সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-বিধায়করা। এবার একই কর্মসূচিতে গিয়ে দলের একাংশেরই ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃনমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে।

Jay Prakash Majumdar: ‘দরকার পড়লে হারিয়ে দেব’, বাঁকুড়ায় জয়প্রকাশকে হুঁশিয়ারি তৃণমূলকর্মীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2023 | 6:58 PM

বাঁকুড়া: দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে এবার নিজের দলের কর্মীদেরই একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে। বুধবার বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা এলাকার জিরাবাইদ গ্রামে দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। দলীয় কর্মীদের ওই অংশ শুধু তাঁকে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানালেন তাই নয়, দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে দেখানোর হুঁশিয়ারিও দিলেন তাঁরা। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই জয়প্রকাশ মজুমদার বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যান।

সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-বিধায়করা। এবার একই কর্মসূচিতে গিয়ে দলের একাংশেরই ক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃনমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে। এদিন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জিরাবাইদ গ্রামে দিদির দূত কর্মসূচীতে যান জয়প্রকাশ মজুমদার। কর্মসূচী সেরে সেখান থেকে ফেরার পথে তৃনমূলের একদল কর্মী জয়প্রকাশ মজুমদারের গাড়ি ঘিরে স্থানীয় নেতৃত্বের প্রতি তাঁদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ্যেই জয়প্রকাশ মজুমদারকে জানান। বিক্ষুব্ধ তৃনমূল কর্মীরা জয়প্রকাশ মজুমদারকে বলেন, দলের স্থানীয় নেতৃত্বের প্রতি তাঁদের ক্ষোভের কথা দলের ব্লক স্তরে তাঁরা জানিয়েছেন। এরপরও প্রত্যাশিত ফলাফল না পেলে সেক্ষেত্রে আগামী দিনে দলীয় প্রার্থীকে হারানোর হুশিয়ারিও দেন বিক্ষুব্ধ তৃনমূল কর্মীরা। অস্বস্তিতে পড়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “দলের প্রতি ক্ষোভ নয় স্থানীয় দু একজন নেতৃত্বের আচরনের প্রতি তাঁদের ক্ষোভের কথা তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন।” বিজেপির দাবি তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভরপুর হয়ে গেছে। যে দলের কর্মীরা তাঁকে লাথি মেরেছিল সেই দলেই তিনি গিয়েছেন। তাই সেখানে সম্মান থাকে নাকি?

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বলেছেন, “মমতা বন্দোপাধ্যায় বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমাদের ক্ষোভ নেই। স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আমাদের ক্ষোভ। আমারা ১২-০ ফলে জিতিয়েছিলাম এই এলাকায়। দরকারে ওই ভোটে হারিয়ে দেব। অঞ্চল নেতৃত্বের বদল চাইছি আমরা।” এ নিয়ে জয়প্রকাশ বলেছেন, “যে দল এত বড়। সেখানে এ রকম হতেই পারে। বিক্ষুব্ধরা জানিয়েছেন দলের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ নেই। স্থানীয় কিছু জনের উপর ক্ষোভ।” বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভরপুর একটা দল। যে দলে লাথি মেরেছিল। সে দলেই গিয়েছেন। সম্মান থাকে না কি!”