Tunnel found in Bankura: গন্ধেশ্বরীর পাড় ভাঙতেই বেরিয়ে এল রহস্যময় দরজা, সুড়ঙ্গের অতলে গুপ্তধন?

Tunnel found in Bankura: কেউ বলছেন ব্রিটিশ আমলের নির্মাণ, কেউ বলছেন ডাকাতরা আশ্রয় নিতেন এখানে।

Tunnel found in Bankura: গন্ধেশ্বরীর পাড় ভাঙতেই বেরিয়ে এল রহস্যময় দরজা, সুড়ঙ্গের অতলে গুপ্তধন?
এই সেই সুড়ঙ্গের মুখ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 29, 2022 | 12:33 PM

বাঁকুড়া: প্রতিদিনের মতো নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন কয়েক জন যুবক। জল ছুঁয়ে আসা হাওয়া গায়ে মেখে নেওয়া তাঁদের পুরনো অভ্যাস। কিন্তু এমন দৃশ্য কোনও দিন দেখেননি তাঁরা। নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে অনেক দিন ধরেই। আর সেই ভাঙন ধরা মাটির দিকে তাকিয়েই একদিন চমকে ওঠেন তাঁরা। কিসের যেন দরজা দেখা যায়! ভয় আর কৌতূহল নিয়েই ছুটে গিয়ে এলাকার মানুষদের সে কথা জানান তাঁরা। প্রথমে কেউ বিশেষ গুরুত্ব না দিলেও পরে গ্রামের মানুষ বুঝতে পারেন কথাটা একেবারে ফেলে দেওয়ার মত নয়। তবে সেই সূত্র ধরে যে এমন একটা জিনিস বেরিয়ে আসবে, তা বুঝে উঠতে পারেননি কেউই। রহস্যের ঝোঁকে উদয়াস্ত খাটার পর যা বেরিয়ে এসেছে, তা যেন নিজেরাই বিশ্বাস করতে পারছেন না এলাকার মানুষজন।

গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ের মাটি খুঁড়তে খুঁড়তেই বেরিয়ে এসেছে এক সুড়ঙ্গের মুখ। ওই দরজার পিছনে আরও অনের রহস্য লুকিয়ে আছে বলেই মনে করছেন এলাকার মানুষ। বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট এলাকা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে রাজারবাগান এলাকায় এই সুড়ঙ্গের মুখের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আপাতত এটুকুই দেখা যাচ্ছে। তবে এর ভিতরে কী আছে, তা জানতে উৎসাহী প্রত্যেকেই। ওই দৃশ্য দেখতে বাড়ছে উৎসাহী মানুষের ভিড়। গন্ধেশ্বরী নদীর চরে আনাগোনা করছেন বহু মানুষ। ইট ও চুন সুরকিতে বাঁধানো সুড়ঙ্গ আসলে কী তা এখনও পরিষ্কার না হওয়ায় রহস্য দানা বাঁধছে। দ্রুত প্রশাসনের পদক্ষেপ চাইছেন বাসিন্দারা।

বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট থেকে গন্ধেশ্বরী নদীর পাড় ধরে ২-১ কিলোমিটার এগোলেই রাজারবাগান এলাকা। একসময় এলাকায় তেমন জনবসতি ছিল না বলেই জানা যায়। ঘন জঙ্গলে ঢাকা ওই এলাকা। ছিল ডাকাতদের নিত্য আনাগোনা। বর্তমানে ওই এলাকার কিছুটা দূরে লোকজন বসবাস শুরু করলেও গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে যাতায়াত করেন খুব কম মানুষ। দিন কয়েক আগে স্থানীয় কয়েকজন নদীর পাড়ে গিয়ে দেখেন পাড়ের মাটি ধসে যাওয়ায় বেরিয়ে পড়েছে একটি ইটে বাঁধানো সুড়ঙ্গের মুখ। স্থানীয় যুবকরা নিজেরাই ওই সুড়ঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন। স্থানীয়দের দাবি সুড়ঙ্গর ভেতরে প্রায় ২০ ফুট খোঁড়া হলেও তার শেষ পাওয়া যায়নি। চওড়ায় প্রায় আড়াই ফুট ও উচ্চতায় প্রায় সাড়ে তিন ফুট আকারের এই সুড়ঙ্গের চারিদিক পোড়া মাটির ইট ও চুন সুরকি দিয়ে বাঁধানো। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেছে বাঁকুড়া সদর থানা। স্থানীয়দের দাবি রহস্যময় এই গুপ্ত সুড়ঙ্গের রহস্যভেদ করার জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগে আরও খননকার্য হোক।

গত ৫-৭ দিন ধরে শাবল নিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। রহস্য উদ্ধার করতে রাত পর্যন্ত কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় চৌবে বা বিবেক মুখোপাধ্য়ায়ের দাবি, দেওয়াল দেখে মনে হচ্ছে এটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। একসময় এই এলাকা খোঁড়া ডাকাতের এলাকা বলেই পরিচিত ছিল। কিন্তু সে সব বছর ২৫-৩০ আগের কথা। এই দরজার নির্মাণ তার থেকেও পুরনো বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, হয়ত বিপ্লবীদের লুকনোর জন্য তৈরি কোনও সুড়ঙ্গ হতে পারে। তাঁরা বলছেন, এর ভিতর থেকে যদি কোনও নির্মাণ বেরিয়ে আসে, তাহলে তা এলাকার জন্য গর্বের হবে, তাই প্রশাসন উদ্যেগ নিক দ্রুত।