WBSEDCL Electricity Bill: ‘ঘুরপথে যে কাটা হচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে’, সঞ্জয় দাসের বিদ্যুতের বিলে হঠাৎ করেই উধাও একটা ‘কলাম’, তাতেই লুকিয়ে রহস্য
Electricity Bill: সঞ্জয় দাস নামে বাঁকুড়া বাসিন্দা এক গ্রাহক বলছেন, "এই বিলে তো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, আমরা তোমাকে হিসাব দেব না। ঘুরপথে যে কাটা হচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে। আমরা তো দিতে বাধ্য।" সঞ্জয় দাস তিন মাস অন্তর দুটো বিল দেখান। তাতে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে যে বিল এসেছে, তাতে এনার্জি চার্জ নেওয়া হয়েছে।
বাঁকুড়া: প্রচণ্ড গরম। এসি চলছে দিবারাত্র। তিন মাস অন্তর মিটার রিডিং করে যে লম্বা স্লিপটা ধরিয়ে দেওয়া হয়, তা পাঠোদ্ধার করা কঠিন ব্যাপার। কিন্তু সেই স্লিপ পকেটে ঢুকলে ভারী ভারী লাগে বইকি। গ্রাহকদের বক্তব্য, বিদ্যুৎ বাবদ খরচটা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যেত আগে। কিন্তু এখন কীভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সঞ্জয় দাস নামে বাঁকুড়া বাসিন্দা এক গ্রাহক বলছেন, “এই বিলে তো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, আমরা তোমাকে হিসাব দেব না। ঘুরপথে যে কাটা হচ্ছে, বোঝাই যাচ্ছে। আমরা তো দিতে বাধ্য।” সঞ্জয় দাস তিন মাস অন্তর দুটো বিল দেখান। তাতে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে যে বিল এসেছে, তাতে এনার্জি চার্জ নেওয়া হয়েছে। সেটা কীভাবে নেওয়া হয়েছে, ভাগে ভাগে ইউনিট হিসাবে তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসের পর এপ্রিল মাসে যে বিল দেওয়া হয়েছে, তাতে নেই সেই ‘কলাম’ই। ফলে উধাও এনার্জি চার্জের ব্যাখ্যা। কেন, তার ব্যাখ্যা অবশ্যং মেলেনি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে। গ্রাহকরা বলছেন, ‘খেয়ে না খেয়ে হোক, বিদ্যুৎ তো ঘরে রাখতেই হবে। তাই দর বুঝেই হাঁকিয়ে যাচ্ছে।’ CESC-এর ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। কিন্তু সেখানে আবার ফ্যাক্টর হচ্ছে FPPAS চার্জ।