Mahua Maitra: ‘কালী’কে নিয়েই মহুয়ার বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছিল বিজেপি, শোকজ নোটিস শিশু সুরক্ষা কমিশনের

Mahua Maitra: সুনীলরুদ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি চিঠি পেয়েছেন। খুব দ্রুতই তিনি জবাব দেবেন বলেও জানান।

Mahua Maitra: ‘কালী’কে নিয়েই মহুয়ার বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছিল বিজেপি, শোকজ নোটিস শিশু সুরক্ষা কমিশনের
এভাবেই প্রতিবাদ দেখায় বিজেপি। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2022 | 9:25 PM

বাঁকুড়া: কালী নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ দেখাচ্ছে বিজেপি। গত ৮ তারিখ বাঁকুড়াতেও পথে নামে তারা। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে মিছিল করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। মহুয়া মৈত্রকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা। কিন্তু এদিন এক বালিকাকে কালী সাজিয়ে নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছিল বিজেপি। তাতেই শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের কোপে পড়তে হল বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে। হাতে অস্ত্র ধরিয়ে বাচ্চা মেয়েকে কালী সাজিয়ে পথে নামার কথা উল্লেখ করে শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন সম্প্রতি শোকজ নোটিস দিয়েছে সুনীলরুদ্র মণ্ডলকে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সুনীলরুদ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি চিঠি পেয়েছেন। খুব দ্রুতই তিনি জবাব দেবেন বলেও জানান।

সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, “শোকজের চিঠি আমরা পেয়েছি। দলের ভিতরে আমরা আলোচনা করব। আমরা যে উত্তর দেব তার কপি সংবাদমাধ্যমের হাতেও আমরা তুলে দেব। এখনও পুরো বিষয়টা আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে সেদিনের বিষয়টা নিয়েই এই চিঠি।” গত শুক্রবার বাঁকুড়ার মিনাপুর শ্মশানকালী মন্দিরে বিজেপির তরফে বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। এরপরই এক বালিকাকে কালী সাজিয়ে তাকে নিয়েই বাঁকুড়া সদর থানায় যায় জেলা বিজেপি নেতত্ব। মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করে তারা। এদিন থানার সামনে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান বিজেপি কর্মীরা।

কেন বালিকাকে কালী সাজিয়ে নিয়ে এসেছেন, তার ব্যাখ্যায় বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল জানিয়েছিলেন, “সাংসদ মহুয়া মৈত্র যেভাবে সনাতন সংস্কৃতির উপর আঘাত হেনেছেন তার প্রতিবাদে আমরা হোম যজ্ঞ করে, তাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। বারবার প্রশাসনকে এই আক্রমণ নিয়ে বলা হলেও তারা কোনও পদক্ষেপ করে না। মা তাই আমাদের সঙ্গে এসেছেন।”

সেদিন এই ঘটনার সমালোচনা করে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এগুলি চমক দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না। এভাবে শিশুদের সাজিয়ে নিয়ে থানায় যাওয়া যায় না। এদিন শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের শোকজ নোটিস প্রসঙ্গে শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা তো আগেই বলেছিলাম শিশুদের নিয়ে এভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া শিশুর অধিকারে হস্তক্ষেপ করা। সেটা যে সত্যি, এই শোকজ নোটিস তা প্রমাণ করল।”