Bankura School: বাংলা বানানই জানেন না, ইংরাজি শব্দের মানে বলা তো দূর অস্ত, ২০২১ সালে চাকরিতে যোগ, বাঁকুড়ার এই শিক্ষকের কীর্তিতে অবাক হবেন

Bankura School: যদিও ওই শিক্ষকদের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, "আমি কী করব, আমার নামে মিথ্যা কথা বললে। ওঁরা ষড়যন্ত্র করছেন। আমি ঠিকঠাকই পড়াই। আমার এখানে আর কিছু বলার নেই।"

Bankura School: বাংলা বানানই জানেন না, ইংরাজি শব্দের মানে বলা তো দূর অস্ত, ২০২১ সালে চাকরিতে যোগ, বাঁকুড়ার এই শিক্ষকের কীর্তিতে অবাক হবেন
বাঁকুড়ার সেই স্কুল শিক্ষক (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2022 | 1:56 PM

বাঁকুড়া: শিক্ষক অযোগ্য। পারেন না বাংলা পড়াতে৷ জানেন না বাংলা বানান। এই বিষয় নজরে আসে ছাত্র ছাত্রী ও অবিভাবকদের। অযোগ্য শিক্ষককে স্কুল থেকে সরানোর দাবি নিয়ে স্কুলের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ জানান গ্রামের মানুষজন। ঘটনা বাঁকুড়ার ওন্দা থানার চড়ুইকুড় গ্রামের চড়ুইকুড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সোমবার শিক্ষকদের স্কুলের বাইরে বসিয়ে রেখে স্কুলে তালা দিল গ্রামের অভিভাবকরা।

বাঁকুড়ার ওন্দা থানার চড়ুইকুড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২১ সালে সহ শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন সোনামুখী এলাকার বাসিন্দা রাজীব কুমার দীক্ষিত। অভিযোগ, শিক্ষক রাজীব কুমার দীক্ষিত একজন অযোগ্য শিক্ষক। স্কুলের পঠন পাঠনে ছাত্রছাত্রীদের ভুল পড়ান। অভিযোগ স্কুলে ইংরাজী পাঠ্যবই পড়াতেই চান না ওই শিক্ষক। তবে শুধু ইংরাজি নয় বাংলা বানানও অনেকসময় ভুল শেখান বলে অভিযোগ। বাংলা পড়াতেই জানেন না ওই শিক্ষক। এমনই অভিযোগ গ্রামের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের । বিষয়টি অভিভাবকদের নজরে আসার পরে এই শিক্ষককে সরানোর দাবি জানানো হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে। কিন্তু কোন সুরাহা না হওয়ায় সোমবার স্কুলের ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে সরানোর দাবি নিয়ে স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকদের বাইরে বসিয়ে রাখেন গ্রামের মানুষ জন।

আন্দোলনকারী গ্রামের মানুষদের দাবি, এই অযোগ্য শিক্ষক যতক্ষন না সরানো হচ্ছে, ততক্ষন এই আন্দোলন চলবে। গ্রামবাসীদের দাবির সঙ্গে কার্যত সহমত স্কুলের প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের দাবি স্কুলের ওই শিক্ষক ঠিক মতন পড়াতে পারেন না। এই বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও ছিলেন। এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

যদিও ওই শিক্ষকদের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, “আমি কী করব, আমার নামে মিথ্যা কথা বললে। ওঁরা ষড়যন্ত্র করছেন। আমি ঠিকঠাকই পড়াই। আমার এখানে আর কিছু বলার নেই।”

স্কুলের প্রধান শিক্ষকই বলছেন, “আমি ওঁকে দুটো ক্লাস করতে দিয়েছিলাম। ইংরাজি ক্লাস। একটি প্যাসেজের বাংলার মানে বলতে বলেছিল ছাত্ররা। ওঁ নাকি বলেছেন, হেড স্যারকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে। ছাত্ররা আমার কাছে এ কথা এসে জানায়। আমি তো এই এক বছর দু’মাস ধরে দেখছি, কী আর বলব।”