Bankura MLA: বিডিওকে ‘শাসানি’র তিনদিন পর ‘অনুতাপ’ প্রকাশ বিজেপি বিধায়কের, যদিও অন্য দাবি নীলাদ্রিশেখর দানার

Bankura: নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনও বিষয় নেই। কাজের জন্য দেখা করতে গিয়েছিলেন।

Bankura MLA: বিডিওকে 'শাসানি'র তিনদিন পর 'অনুতাপ' প্রকাশ বিজেপি বিধায়কের, যদিও অন্য দাবি নীলাদ্রিশেখর দানার
বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2022 | 8:46 AM

বাঁকুড়া: তিনদিন আগেই বিডিওর (BDO) সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি বিধায়কের (BJP MLA) বিরুদ্ধে। সোমবার সেই বিডিওর সঙ্গে দেখা করে নিজের অনুশোচনার কথা জানালেন বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। বিডিওর বক্তব্য, “সেদিনের যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে সেটা নিয়ে উনি অনুতপ্ত”। যদিও নীলাদ্রিশেখর দানার দাবি, এখানে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কাজের জন্যই বিডিওর কাছে গিয়েছিলেন। একইসঙ্গে বিধায়ক জানান, তিনি যে কোনও কথাই জোর দিয়ে বলেন। তাতে সুর চড়িয়ে বলছেন মনে হয়। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার। আবাস যোজনায় বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বাঁকুড়া-১ ব্লকের বিডিওকে শাসানির অভিযোগ ওঠে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেদিন বিধায়ক বিডিওর দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলেছিলেন, ‘বেনিয়ম ঠেকাতে না পারলে চাকরি ছেড়ে দিন’। সেই ঘটনার পর সোমবার বিডিও অফিসে যান বিধায়ক। নিজের ব্যবহারের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন বলে জানান বিডিও। যদিও ক্ষমা চাওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমে স্বীকার করতে চাননি নীলাদ্রিশেখর দানা।

আবাস যোজনার সদ্য প্রকাশিত তালিকায় বাদ পড়া উপভোক্তাদের নিয়ে গত শুক্রবার বাঁকুড়া-১ ব্লকের বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দেয় বিজেপি। সেখানে ছিলেন নীলাদ্রিশেখর দানাও। সেখানেই তিনি বিডিও অঞ্জন চৌধুরীকে আঙুল উঁচিয়ে শাসান বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপি বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, “উপভোক্তাদের তালিকা স্বচ্ছ করুন। প্রকৃত উপভোক্তাদের আবাস যোজনার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করুন। না পারলে আপনি চাকরি ছেড়ে দিন। তৃণমূল নেতাদের বলুন আপনাকে তাঁদের দলীয় অফিসে নিয়ে গিয়ে বসাতে।”

একজন জনপ্রতিনিধির এ হেন বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। জনপ্রতিনিধির কাজ মানুষকে পরিষেবা পাইয়ে দেওয়া। কিন্তু প্রশাসনের কোনও আধিকারিককে এভাবে আক্রমণ করার অধিকার কি সংবিধান দেয়, প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। এরপরই সোমবার নিলাদ্রীশেখর দানা বাঁকুড়া-১ এর বিডিওর দফতরে যান।

বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বিধায়ক আমার কাছে এসেছিলেন। সেদিনের যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে সেটা নিয়ে উনি অনুতপ্ত বললেন। এগুলো করা ঠিক হয়নি। যেহেতু উনি বাইরে নানা অভিযোগ পাচ্ছেন, তাই তিনি আমার কাছে এসে বলেন। এটা মূলত তারই বহিঃপ্রকাশ। আমিও ওনাকে বললাম, সবসময় মার্জিত ভাবে কথা বলবেন। আমরা যাঁরা আধিকারিক, সবসময় চেষ্টা করি সরকারের গাইডলাইন মেনে কাজ করতে। উনি মূলত পানীয় জলের সমস্যার কথা বলছিলেন। আমরা বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলছি। খুব তাড়াতাড়ি এটার সমাধান হবে। চিৎকার চেঁচামেচি করে তো আর কাজ হয় না। আর আবাস যোজনার বিষয়টায় এখন তো তথ্য অনুসন্ধান চলছে। তাতে কেউ আগে থেকে কী করে বুঝে গেলেন যে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ হয়েছে। দফায় দফায় আমরা তদন্ত করছি।”

যদিও সোমবারের বিডিও-সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে নীলাদ্রিশেখর দানার বক্তব্য, “ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ক্ষমা আবার কীসের জন্য? যাঁরা পরিষেবা দেন, তাঁদের কাছে আমাকে যেতেই হবে। বিডিওর দায়িত্ব কাজ করা। কাজের জন্য আমাকে ওনার কাছে যেতেই হবে। আর আমার কথা বলার ধরনই হল, কথায় একটু জোর দিয়ে বলা। আমি কাজ করি, ছুটে বেড়াই, আমি তাই জোরের সঙ্গে কথাও বলি।”

যদিও এ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যা বলেন, “উনিই নিজে বুঝতে পেরেছেন যে আন্দোলনের কথা উনি বলছেন সেগুলো ভুয়া। যার ফলে এই আন্দোলন টিকবে না। বিধায়কের সমস্ত অভিযোগ যে মিথ্যা তা তো আমি বারবারই বলেছি। আজ ওনার অনুশোচনা হয়েছে তাই তিনদিন পর ছুটে গিয়েছেন।”