Lord Shiva: মন টানে অমরনাথের মহাদেব, শ্রাবণ সোমবারে শিবভক্ত সঙ্গীতা বাড়িতেই গড়লেন শিবলিঙ্গ

Bankura News: সঙ্গীতা জানান, বাড়িতেই সমস্ত নিয়ম মেনে তিনি পুজো করেন। বাড়িতে শিব ঠাকুরের ছবি আছে। সেই ছবিতে নিয়মিত ফুল, চন্দন দেন।

Lord Shiva: মন টানে অমরনাথের মহাদেব, শ্রাবণ সোমবারে শিবভক্ত সঙ্গীতা বাড়িতেই গড়লেন শিবলিঙ্গ
সঙ্গীতা পাত্র ও তাঁর তৈরি শিবলিঙ্গ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2022 | 7:43 AM

বাঁকুড়া: শ্রাবণ মাস মানেই শিবের উপাসনা। শিবের মাথায় জল ঢেলে মনের সবটুকু আর্তি আরাধ্যের কাছে সঁপে দেওয়া। এই সময় বিভিন্ন শিব মন্দিরে হাজার হাজার মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অনেকে আবার বাড়িতেই শিবলিঙ্গে জল ঢালেন। বাঁকুড়া শহরের লোকপুর এলাকার গৃহবধূ সঙ্গীতা পাত্রও শিবের পুজো করেন প্রতি বছর। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক, তাঁর বাড়িতে কোনও শিবলিঙ্গ নেই। আবার ইচ্ছে থাকলেও কোনও মন্দিরে গিয়ে জল ঢালা সম্ভব হয়ে ওঠে না। মহাদেবের মাথায় জল ঢালার ইচ্ছে পূরণে নিজেই বাড়িতে বানালেন শিবলিঙ্গ। রেফ্রিজারেটরে বরফের শিবলিঙ্গ বানিয়ে ভক্তিভরে পালন করলেন শ্রাবণ-সোমবার।

ইংরাজি নিয়ে স্নাতকোত্তর, সঙ্গে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সঙ্গীতা পাত্র। তিনি এ জেলারই ছাতনার দুবরাজপুরের মেয়ে। বৈবাহিক সূত্রে লোকপুরে থাকেন। খুব ছোটবেলা থেকেই এই মেয়ে শিবভক্ত। বাপের ঘরে থাকার সময়ও প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে নিয়ম করে সোমবার পালন করতেন। ভক্তিভরে পুজো দিতেন ভোলা মহেশ্বরের। সে সময় অবশ্য মন্দিরেও যেতেন। কিন্তু বিয়ের পর সংসারের চাপে আর মন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়া হয় না।

সঙ্গীতা জানান, বাড়িতেই সমস্ত নিয়ম মেনে তিনি পুজো করেন। বাড়িতে শিব ঠাকুরের ছবি আছে। সেই ছবিতে নিয়মিত ফুল, চন্দন দেন। তবে শিবলিঙ্গ না থাকায় ডল ঢালার সাধ অপূর্ণই থেকে গিয়েছিল। এবার তিনিও ঠিক করেন, বাবার মাথায় জল ঢালবেনই। শ্রাবণ মাসের চতুর্থ সোমবারে সে সাধ পূরণ হল ভক্তের।

কিন্তু কীভাবে এমন ভাবনা মাথায় এল? সঙ্গীতা জানান, অমরনাথের শিবলিঙ্গ তাঁকে খুবই আকৃষ্ট করে। এরপরই গত রবিবার রাতে একটি জলের গেলাস ও বাটিতে জল ভরে তা বিশেষ কায়দায় ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন। সোমবার সকালে যখন ওই গ্লাস ও বাটি বের করেন, ভক্তের চোখ তখন কার্যত ছলছল। হুবহু সেই শিবলিঙ্গ। সোমবার সেই শিবলিঙ্গকেই পুজো করেন সঙ্গীতা। জলও ঢালেন তাতে। সঙ্গীতার এমন বুদ্ধির তারিফ করেছেন তাঁর বাড়ির লোকজন থেকে পাড়া প্রতিবেশি সকলেই।

সঙ্গীতা পাত্র বলেন, “আমি নিজের হাতে বরফ দিয়ে দেবাদিদেব মহাদেবকে গড়ে পুজো করেছি। এটা আমার কাছে খুব বড় একটা পাওনা। ভেবেছিলাম বাইরে গিয়ে কোনও মন্দিরে শিবলিঙ্গে জল ঢালব। কিন্তু শ্রাবণের তিনটে সোমবার পেরিয়ে গেল, যেতে পারিনি। আগের সোমবারও বাড়িতেই পুজো করি। এ মাসের চতুর্থ সোমবারেও করলাম। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের বাড়িতে কোনও শিবলিঙ্গ নেই। তারপরই এই ভাবনা মাথায় আসে।” কথায় বলে, ভক্তিভরে ডাকলে ভক্তের আর্তিতে সাড়া দেন ভগবানও। সঙ্গীতার বিশ্বাস, দেবাদিদেব চেয়েছেন, তাই তিনিও এমন সুন্দর গিরীশ্বর গড়তে পেরেছেন।