Bankura Chaos: ‘তৃণমূলকে এবার পালিশ করবে জনগণ’, বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের
Bankura: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার ওন্দার রামসাগরে দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে 'চোর ধরো জেল ভরো' শির্ষক বিজেপির কর্মসূচির সভায় প্রকাশ্যে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমর নাথ নাম না করে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'যাঁরা-যাঁরা বিভিন্ন ভাবে টাকা নিয়েছেন, তাঁরা মানুষের টাকা ফিরিয়ে দিন। না হলে পুলিশ নয় এবার জনগণ আপনাদের পালিশ করবে।'
বাঁকুড়া: দুর্নীতি ও কাটমানি ইস্যু নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিল পদ্মশিবির। এবার ফের একই বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল পদ্ম বিধায়ককে। দুর্নীতি ও কাটমানি নিয়ে তৃণমূলকে কড়ায় গন্ডায় বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়কের। পাল্টা তৃণমূল বলছে এলাকায় অশান্তির জন্যই এমন কর্মকাণ্ড।
বাঁকুড়ার পুয়াবাগান এলাকার ঘটনা। সেখানে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গেল বিজেপি বিধায়ক অমর নাথ শাখার গলায়। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগে বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে তৃণমূল নেতাদের গণধোলাইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ওন্দার এই বিজেপি বিধায়ক।এবার তৃণমূল নেতাদের ‘পালিশ’ করার ও কড়ায় গণ্ডায় হিসাব বুঝে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার ওন্দার রামসাগরে দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ শীর্ষক বিজেপির কর্মসূচির সভায় প্রকাশ্যে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমর নাথ নাম না করে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যাঁরা-যাঁরা বিভিন্ন ভাবে টাকা নিয়েছেন, তাঁরা মানুষের টাকা ফিরিয়ে দিন। না হলে পুলিশ নয় এবার জনগণ আপনাদের পালিশ করবে।’
এখানেই থেমে থাকেননি অমরনাথবাবু। নাম করেই ওই মঞ্চ থেকে তিনি তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যাঁরা-যাঁরা আমাদের কর্মীর উপর অত্যাচার করেছেন, সেই হিসেব এবার কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নেব। তখন কেউ কোথাও থাকবে না।’ পরবর্তীতে সাফাইয়ের সুরি বিধায়ক বলেন, ‘কোনও হুঁশিয়ারি বা উস্কানিমূলক কথা নয়। এটা মানুষের কথা তুলে ধরেছি। মানুষ ভয়ে বলতে পারছে না। সেটাই আমি বলে দিলাম।’
অপরদিকে, তৃণমূলের দাবি বিজপি বিধায়ক উন্নয়নের ধারে কাছে নেই এই সব উস্কানিমূলক কথা বার্তা বলে শান্ত ওন্দাকে অশান্ত করতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। এলাকার এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘এটা বিজেপির সংস্কৃতি। বিজেপি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেসর উন্নয়ন দেখে অমরনাথবাবুর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ ওনার ডাকে সাড়া দেন না। উনি দেড় বছর এমএলএ হওয়ার পরও কোথাও কোনও উন্নয়ন করেননি।’