Bankura: অতিরিক্ত পণের দাবিতে ছুরি নিয়ে স্ত্রী-শাশুড়িকে এলোপাথাড়ি কোপ, গ্রেফতার জামাই
Bankura: সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে প্রদীপ আচমকাই মহেশপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয়। ফের সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। তখনই ঘটে যায় এ ঘটনা।
বাঁকুড়া: অতিরিক্ত পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দপুর থানার মহেশপুর গ্রামে। ঘটনায় দুই গুরুতর আহত দুই মহিলাই। খবর যায় পুলিশ। অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেফতার করে ইন্দপুর থানার পুলিশ। বুধবার তাঁকে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করলে আদালত ধৃতকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আজ থেকে বছর বারো আগে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার কৃষ্ণনগর এলাকার প্রদীপ দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় ইন্দপুর থানার মহেশপুর গ্রামের অতসী তন্তুবায়ের। অভিযোগ, বিয়ের বছর তিনেক পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবি করতে থাকে অতসীর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। বাপের বাড়ি থেকে পণ বাবদ বাড়তি টাকা শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যেতে অস্বীকার করলে অতসীর উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছর দুই আগে নিজের দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে আসে অতসী।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে প্রদীপ আচমকাই মহেশপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয়। ফের সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। কিন্তু, তারমধ্যেই প্রদীপ যে ওই কাণ্ড করে ফেলবে তা গুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি কেউ। অভিযোগ বচসা চলাকালীন সময়ে আচমকাই ছুরি বের করে স্ত্রীর উপর আক্রমণ করে প্রদীপ। শাশুড়ি টিঙ্কু তন্তুবায় বাধা দিতে গেলে তাঁকেও ছুরির কোপ মারে প্রদীপ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দুজনেই। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে ইন্দপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাঁদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করেন। এদিকে অভিযোগ পেতেই মঙ্গলবার রাতেই জামাই প্রদীপকে গ্রেফতার করে ইন্দপুর থানার পুলিশ। যদিও প্রদীপের আইনজীবী তাঁর মক্কেলকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন।