Bankura Woman Death: কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার ‘শাস্তি’, শ্বশুরবাড়ির নৃশংস অত্যাচারের শিকার হয়ে মহিলা বেছে নিলেন চরম পথ
Bankura: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে বাঁকুড়ার হীড়বাঁধের বাসিন্দা সোনালীর সঙ্গে বিয়ে হয় রতনপুরের সোমনাথ পরামানিকের।
বাঁকুড়া: সদ্য বিবাহিতা। অবস্থা থেকেই চলছিল শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার। তারই মাত্রা দ্বিগুণ হয় কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকে। সেই লাগামছাড়া অত্যাচার সহ্য না করতে পেরেই কি মর্মান্তিক পথ বেছে নিলেন গৃহবধূ? সাতসকালে বাঁকুড়ার রতনপুরে একটি কুয়ো থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ঘনীভূত রহস্য। যদিও মৃতার পরিজনদের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে ওন্দা থানার পুলিশ। মৃতদেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে বাঁকুড়ার হীড়বাঁধের বাসিন্দা সোনালীর সঙ্গে বিয়ে হয় রতনপুরের সোমনাথ পরামানিকের। মেয়ের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মেয়ের উপর বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়। সমস্যা আরও বাড়ে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর। নয় মাস আগে সোমনাথ ও সোনালীর মেয়ে হওয়ার পর শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। শারীরিক নির্যাতনের কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। সোমবার রাতে নির্যাতনের বিষয়টি বাপের বাড়ির লোককে জানান তিনি। এরপর ভোরবেলা সোনালীর পরিজনদের শ্বশুরবাড়ি পক্ষ থেকে জানানো হয় মৃত্যুর খবর।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে বাড়ি কুয়ো থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় গৃহবধূর মৃতদেহ। এই ঘটনায় মেয়ের বাপের বাড়ির অভিযোগ, খুন করে সেখানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল তাদের মেয়েকে। এরপরই তারা স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওন্দা থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অন্যদিকে, প্রতিক্রিয়া মেলেনি অভিযুক্তদের।