Bankura: বিষধর সাপকে কাঁকড়া বিছে বলে চালিয়েছিল ওঝা, মৃত্যু মায়ের, স্তন্যপান করে অসুস্থ কোলের শিশুও
Bankura: মৃত মহিলার নাম শিখা বাগদি। শুক্রবার রাত্রিবেলা শিশুকে পাশে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় কিছু একটা কামড়ে দেয় শিখাদেবীকে। যার জেরে ক্রমাগত জ্বলতে থাকে তাঁর হাত।
বাঁকুড়া: ঘুমন্ত অবস্থায় কামড়ে দিল বিষধর সাপ। বুঝতে না পেরে ওঝার কাছে গিয়ে ঝাড়ফুক। আর তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গৃহবধূ। স্তন্যপান করে অসুস্থ কোলের শিশুও। মর্মান্তিক ঘটনা বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানার বালসি ২ নং পঞ্চায়েতের শালোইপাড়া এলাকায় ৷ হাসপাতালে না গিয়ে ওঝার উপরই ভরসা করল পরিবার। তাতে আরও বাড়ল বিপদ।
মৃত মহিলার নাম শিখা বাগদি। শুক্রবার রাত্রিবেলা শিশুকে পাশে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় কিছু একটা কামড়ে দেয় শিখাদেবীকে। যার জেরে ক্রমাগত জ্বলতে থাকে তাঁর হাত। এরপর পরিবারের লোকজন বদ্রীনাথ বাগদী নামে এক ওঝার কাছে নিয়ে যায় তাঁকে। অভিযোগ, ওই ওঝা জানায় সাপে নয় কাঁকড়া বিছেতে কামড় দিয়েছে। এরপরেই বাড়িতে নিয়ে এলে মধ্যরাতে শারিরিক অসুস্থতা বাড়তে থাকে ওই গৃহবধূর। এরপরেই ওই গৃহবধূকে স্থানীয় পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্থাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে শিখা বাগদিকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
পরিবারের লোকজন তখন জানতে পারে কাঁকড়া বিছে নয় বিষধর গোখরো সাপেই কামড় দিয়েছিল ওই গৃহবধূকে। এদিকে ওই গৃহবধূর স্তন্যপান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তার বছর চারেকের সন্তান। বাড়ির থেকে উদ্ধার হয় গোখরো সাপটিও।
বিশেষজ্ঞদের দাবি প্রথমেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হত ওই গৃহবধূকে। যদিও ওই ওঝার দাবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।ওই ওঝা বলেন, “আমি ঝাড়ফুক করি না। হাত দেখে বলে দিই ডাক্তারখানায় চলে যাও। ওদেরকেও আমি বলেছিলাম ডাক্তারখানায় যেতে।” ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সদস্য সৌম্য সেনগুপ্ত বলেন, “আরও এক এই ঘটনা আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ওঝার কাছে যাওয়ার পরিণতি কী ভয়ানক হতে পারে। উনি যদি বুদ্ধি করে আগেই ডাক্তারখানায় যেতেন তাহলে এই দৃশ্য দেখতে হত না।”