Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ভোটে দাঁড়াতে চাই না’, মমতাকে চিঠি নিরুপমকে হারানো রবিরঞ্জনের

মমতাকে উদ্ধৃত করে টুইট করলেন নিরুপম সেনকে হারানো তৃণমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্য়ায়

'ভোটে দাঁড়াতে চাই না', মমতাকে চিঠি নিরুপমকে হারানো রবিরঞ্জনের
ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2021 | 1:16 PM

বর্ধমান: একুশের ভোটে দাঁড়াতে চান না তিনি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানালেন বর্ধমান দক্ষিণের দু’বারের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মাটি উৎসবে তৃণমূলের প্রবীণ বিধায়ককে দেখা যায়নি। তখনই জল্পনা তৈরি হয়। অবশেষে বুধবার সকালে জানা গেল দলনেত্রীকে চিঠি লিখে রবিবাবু জানিয়েছেন বয়স জনিত অসুস্থতার কারণে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চান না তিনি। অবশ্য এই চিঠি তিনি লিখেছিলেন গত ৩০ জানুয়ারি। এ দিন টুইটারের মাধ্যমে তা প্রকাশ্যে এল। টুইটে রবিরঞ্জন লেখেন, “আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমার বয়স ও শারীরিক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” মমতাকে লেখা চিঠি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “দলনেত্রীকেও এই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার প্রিয় বর্ধমানবাসীদের ধন্যবাদ জানাই ও তাঁদের কল্যাণ কামনা করি।”

যদিও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও একটি কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেকেই মনে করছেন এবার হয়ত টিকিটও পেতেন না তিনি। তাই আগেভাগে নিজেই ভোটে না লড়ার কথা জানালেন প্রাক্তন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: তৃণমূল বাদে অন্যকে ভোট মানেই বিজেপির দিকে, বহরমপুরে মমতার সাফ বার্তা

কিছুদিন আগে সিপিএম থেকে বিজেপি হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বর্ধমানের দাপুটে নেতা আইনুল হক। তাঁকে দলে মানবেন না বলে প্রকাশ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেতা খোকন দাস। ভোটের আগে বর্ধমান জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল মেটানোর বহু উদ্যোগ নিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। তারপরেও রাশ টানা যায়নি। এ দিকে খোকন এবং আইনুল দু’জনেই একুশের ভোটে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তে চান বলে খবর। এই প্রেক্ষিতেই কি নিজেকে টিকিট পাওয়ার দৌড় থেকে সরিয়ে নিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী? এই প্রশ্নই উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেন মমতা। সিপিএমের নিরুপম সেনকে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেন তিনি। ২০১৬ সালে ওই কেন্দ্র থেকে তিনি ফের জেতেন। রাজ্যের কারিগরী শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বায়ো টেকনোলজি দফতরেরও মন্ত্রিত্ব সামলান। যদিও সেই সময় থেকেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা শোনা যায়। বিধায়ক নিজের কেন্দ্রে কম থাকেন, এমন অভিযোগও শোনা গিয়েছিল। এই প্রেক্ষিতে এবারের ভোটে নিজে থেকেই রবিরঞ্জন জানিয়ে দিলেন তিনি ভোটে দাঁড়াতে চান না।