AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রাস্তায় চায়ের দোকানে জটলা, বিনা কারণে আড্ডা! ‘সান্ধ্যমজলিশি’ নজরে এলেই ‘কড়া’ হয়ে উঠবে পুলিশি লাঠি

প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, মাস্ক খুলে একজায়গায় দাঁড়িয়ে গল্প করছেন একাধিক। কেউ কেউ ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না মাস্ক পরা। পুলিশি প্রহরাকে ফাঁকি দিয়ে মাঝে মধ্যেই চায়ের দোকান বা ছোট খাবারের দোকানে চলছে খোশগল্প।

রাস্তায় চায়ের দোকানে জটলা, বিনা কারণে আড্ডা! 'সান্ধ্যমজলিশি' নজরে এলেই 'কড়া' হয়ে উঠবে পুলিশি লাঠি
চলছে পুলিশি প্রহরা, নিজস্ব চিত্র
| Updated on: May 12, 2021 | 11:40 PM
Share

জলপাইগুড়ি: করোনা আবহে (Corona) সংক্রমণ প্রতিহত করতে রাজ্য জুড়ে জারি আংশিক লকডাউন। কিন্তু, তবুও সতর্ক হয়নি আমজনতা। প্রায়ই দেখা মিলছে মাস্কহীন অরক্ষিত মুখের। কোনও কোনও এলাকায় এখনও আড্ডা জমায়েত অব্যাহত। দোকানবাজার বন্ধ থাকলেও ঠিকই ‘সান্ধ্যমজলিশি’তেও বিরাম নেই। জটলা হচ্ছেই। এ বার এই জটলা রুখতেই পথে নামল পুলিশ। বুধবার ধূপগুড়ি শহর জুড়ে চলল জটলা প্রতিহত করার পুলিশি অভিযান।

ধূপগুড়ি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে বলবৎ নির্দেশিকা অনুযায়ী, বেঁধে দেওয়া হয়েছে বাজার দোকানের সময়সীমা। সারাদিন শুধু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (Essential Commodity) অর্থাৎ মুদিখানা ও ওষুধের দোকান ছাড়া আর কিছু খোলা থাকার নির্দেশ নেই। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে স্পা, জিম, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। কোথাও বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না এমনটাও স্পষ্ট করা হয়েছে নির্দেশিকায়। রাস্তায় বেরলে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক-স্যানিটাইজার। কিন্তু, নির্দেশিকা থাকলেও তা পালন করছেন কয়জন? প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, মাস্ক খুলে একজায়গায় দাঁড়িয়ে গল্প করছেন একাধিক। কেউ কেউ ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না মাস্ক পরা। পুলিশি প্রহরাকে ফাঁকি দিয়ে মাঝে মধ্যেই চায়ের দোকান বা ছোট খাবারের দোকানে চলছে খোশগল্প। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই এ বার পথে নেমেছে পুলিশ। এতদিন কেবল মাস্ক পরার জন্য বা সময়ে সময়ে নিয়ম মেনে দোকান খোলা-বন্ধ হচ্ছে কি না তা দেখতেই অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ, এ বার থেকে বিনা কারণে জটলা করা বা আড্ডা দেওয়া বন্ধ করতে তৎপর হল পুলিশ।

এদিন, ধূপগুড়িতে কার্যত সন্ধ্যার পর পুলিশের আচমকা টহলদারিতে তটস্থ হয়ে উঠলেন আমজনতা। সন্ধ্যার পর থেকেই যেখানে জমায়েত দেখা গেল, সেখানেই হাজির হল পুলিশ। চলল ধরপাকড়। এমনকী জটলা হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়েও যেতে দেখা গেল পুলিশকে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, “পুলিশের টহলদারি জরুরি এখন। ব্যবসা করে আমরা খাই। কিন্তু, নিজেদের কথা ভেবেই নিয়ম করে দোকান খুলছি বন্ধ করছি। মানুষের উচিত নিজের ভালমন্দটা বোঝা। এই পরিস্থিতিতে জমায়েত আড্ডা মোটেও কাম্য নয়। পুলিশ যা করছে ঠিক করছে।” ধূপগুড়ি থানার এক পুলিশ অধিকর্তা বলেন,  “মানুষ যাতে বিনা কারণে এই জটলা না করে তার জন্যই এই পদক্ষেপ। এই টহলদারি চলবে। মাইকিং করা হবে প্রয়োজনে। সাধারণত, সন্ধ্যার পর ভিড় বাড়ে বলে সন্ধ্যার পরেই টহলদারি চলছে। তবে, প্রয়োজনে এরপর দিনেরবেলা করেও টহলদারি চলবে।”

উল্লেখ্য, বুধবারও বাংলায় নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ১৩৫। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার বলি ১৩২ জন। তার মধ্যে ৩৯ জনের মৃত্যু উত্তর ২৪ পরগনাতেই। কলকাতায় মৃত্য়ু হয়েছে ৩৭ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলাতে। করোনা সংক্রমণে লাগাম টানতে পারছে না শহর কলকাতা। স্বাস্থ্য দফতরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতাতেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৭৩ জন। করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৯১৩ জন।

আরও পড়ুন: মদ্যপ স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বচসা-হাতাহাতির জেরে বন্ধ পরিষেবা, কোভিড ওয়ার্ডে জমেছে বাথরুমের জল, যত্রতত্র ছড়িয়ে পিপিইকিট!