করোনা সঙ্কটে কেন্দ্র রাজ্যের যৌথ উদ্যোগ, গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট হাসপাতালে বসছে দুটি অক্সিজেন প্লান্ট

গঙ্গারামপুর হাসপাতালে (Gangarampur Hospital) ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেই অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হবে। সেই উপলক্ষ্য়ে, হাসপাতাল পরিদর্শনের কাজ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে, বালুরঘাট হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজ করবে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (PHE)।

করোনা সঙ্কটে কেন্দ্র রাজ্যের যৌথ উদ্যোগ, গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট হাসপাতালে বসছে দুটি অক্সিজেন প্লান্ট
এই দুই হাসপাতালেই বসবে অক্সিজেন প্লান্ট, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 09, 2021 | 9:01 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর: করোনা সঙ্কটে আকাল টিকার। মিলছে না অক্সিজেন। এই অবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্য়ের যৌথ উদ্য়োগে গঙ্গারামপুর হাসপাতাল ও বালুরঘাট হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে বসানো হচ্ছে দুটি অক্সিজেন প্লান্ট (Oxygen Plant)। জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর হাসপাতালের অক্সিজেন প্লান্টটির কাজ আগামী দুই একদিনের মধ্যেই শুরু হবে। অন্যদিকে, বালুরঘাট হাসপাতালের প্লান্টটির কাজ শুরু হবে জুনের প্রারম্ভে।

সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুর হাসপাতালে (Gangarampur Hospital) ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেই অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হবে। সেই উপলক্ষ্য়ে, হাসপাতাল পরিদর্শনের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্য়েই কাজ শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বালুরঘাট হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজ করবে রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (PHE)। আগামী জুনের শুরুতেই সেই কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. সুকুমার দে জানিয়েছেন, এই দুটি প্লান্ট তৈরি হলে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ লিটার অক্সিজেন তৈরি হবে। মিটবে অক্সিজেন সঙ্কটও।

প্রসঙ্গত, ৯৩টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট (Oxygen Plant) তৈরি করতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ৫টি প্ল্যান্টের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। এই প্ল্যান্টগুলি থেকে সব হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে পাইপলাইনের মাধ্যমে। গত ২৬ এপ্রিল সোমবার, নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে করোনা মোকাবিলায় নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যে, সমস্ত হাসপাতালের বেড-সহ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে সমস্ত রিপোর্ট পেশ করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। পুরো বিষয়টির উপরে নজর রাখে নবান্নের গঠিত টাস্ক ফোর্স।

এই মুহূর্তে বাংলায় প্রতিদিন ৪৯৭ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। আমদানি করা হয় প্রায় ৩৫০ মেট্রিত টন অক্সিজেন। তবে উত্তরোত্তর সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার জেরে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার।  ইতিমধ্যেই, আরও শয্য়া, ভ্যাকসিন, ওষুধ ও অক্সিজেন চেয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, দেশজুড়ে যথাযথভাবে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে শনিবার ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স (NTF) গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মোট ১২ সদস্য়ের এই টাস্ক ফোর্স খতিয়ে দেখবে কোন রাজ্যে কতটা অক্সিজেন প্রয়োজন, কত পরিমাণ অক্সিজেন মুজুত রয়েছে, প্রয়োজন মতো অক্সিজেন পৌঁছচ্ছে কি না সর্বত্র–সবটাই দেখা হবে। আপাতত  এই টাস্ক ফোর্সের মেয়াদ ছয় মাস।

আরও পড়ুন: খাস নিউটাউনে বেআইনিভাবে মজুত করা হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার! কলকাতা পুলিশের জালে গ্রেফতার ১