Siuri Hospital: ‘কী খুঁজছেন?’, প্রশ্ন করতেই হাসপাতালের ভিতর নার্সকে বেধড়ক মার যুবকের
Siuri Hospital: অভিযুক্তের স্ত্রী রেখা দলুইয়ের বক্তব্য, "ওর মাঝেমধ্যে মাথায় একটু সমস্যা হয়। ও থাকতে চাইছিল না হাসপাতালে। কিন্তু আমিই জোর করলাম যেহেতু পুরুষ বিভাগে একজন ছেলেকে থাকতে হবে। এরপর শুনি এইসব ঘটনা। ওকে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।"
বীরভূম: প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সদের নিরাপত্তা। সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এক ভিডিয়ো বার্তায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নার্সেস ইউনিটির সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়।
অভিযোগ, সিউড়ি হাসপাতালে ওই নার্সকে যিনি মারধর করেন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর আত্মীয়। ওই রোগী পুরুষ বিভাগে ভর্তি। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই যুবককে। সূত্রের খবর, কেবিনে অন্যান্য নার্সদের সঙ্গে আক্রান্ত নার্স বসেছিলেন। কৈলাস দলুই নামে অভিযুক্ত যুবক নার্সদের কেবিনে ঢোকার চেষ্টা করেন। তারই প্রতিবাদ করেন ওই নার্স। এরপরই মারধর করা হয় বলে দাবি অভিযোগকারীর। আচমকা এমন মারধরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন অভিযোগকারী। তাঁকে হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়।
এদিকে এই ঘটনায় কৈলাসের স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামীর মানসিক সমস্যা রয়েছে। পুলিশ এই দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে। অভিযোগকারী ওই নার্স বলেন, “আমরা দু’জন স্টাফ ছিলাম। ওনাকে বললাম ড্রেসটা বদলে আসুন। আমি ডেস্কে বসছি। হঠাৎ করে ওই ব্যক্তি আমাদের ইনজেকশন ট্রলির দিকে গিয়ে কী একটা খুঁজতে শুরু করেন। আমি ভাবলাম হাউজ কিপিং। আমি তিনবার জিজ্ঞাসা করি কিছু চাইছেন কি না। কিছু খুঁজছেন কি না। কোনও উত্তর দেননি। হঠাৎ করে বলে উঠলেন আমি তোকে মারতে এসেছি। অথচ আমি ওনাকে চিনিও না। কানে, গলায়, পেটে আঘাত করে আমার।”
অভিযুক্তের স্ত্রী রেখা দলুইয়ের বক্তব্য, “ওর মাঝেমধ্যে মাথায় একটু সমস্যা হয়। ও থাকতে চাইছিল না হাসপাতালে। কিন্তু আমিই জোর করলাম যেহেতু পুরুষ বিভাগে একজন ছেলেকে থাকতে হবে। এরপর শুনি এইসব ঘটনা। ওকে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।”
নার্সেস ইউনিটির সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “কর্তব্যরত একজন নার্সকে একজন বহিরাগত মারধর করে গেলেন। আমরা এর কঠোর শাস্তি দাবি করছি। অপরাধের মাত্রা খতিয়ে দেখে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।”